অরুণ কুমার সরকার, চিতলমারী প্রতিনিধি:
অতিবৃষ্টিতে বাগেরহাটের চিতলমারী মৎস্য ও কৃষিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্র জানায়, প্রায় ২০ হাজার ঘের তলিয়েছে। পাশাপাশি উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, সবজি ধান-পানের ক্ষেত আক্রান্ত হয়েছে। এই অবস্থায় কৃষকেরা এখন দিশেহারা হয়ে গেছেন। কিভাবে তারা দেনা পরিশোধ করবেন আর কিভাবে সংসার চালাবেন তা বুঝে উঠতে পারছেন না। তাই তারা সরকারের সাহায্য কামনা করেছেন।
চিতলমারীর চরবানিয়ারী ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের কৃষক বাবলু হুই জানান, তার ঘেরগুলো তলিয়ে মাছ চলে গেছে। এছাড়া সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়। আশেপাশের গ্রামগুলো সহ সকল এলাকা তলিয়ে গেছে। বারাশিয়া, ডুমুরিয়া, খিলিগাতী, রায়গ্রাম, দুর্গাপুর, খড়মখালী, ব্রহ্মগাতী, শ্রীরামপুর, খড়িয়া সহ প্রায় সব নিচু এলাকা তলিয়ে যায় এবং চাষীরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
এই ব্যাপারে চিতলমারী উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা শেখ আসাদুল্লাহ জানান, উপজেলার ২০ হাজার ঘেরের পাড় তলিয়ে গেছে। এক ঘেরের মাছ পাশের ঘেরে অবাধে যাতায়াত করছে। তবে বিলের মাছ বের হতে পারেনি। নদী খাল এলাকার মাছ বেরিয়ে গেছে।
এই ব্যাপারে চিতলমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সিফাত আল মারুফ জানান, কৃষি অফিসের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সর্বোচ্চ বৃষ্টি রেকর্ড করা হয় ১৭৫ মিলিমিটার। অতিবৃষ্টিতে ২৫০ হেক্টর সবজি, ৫০ হেক্টর আমন ধান এবং তিন হেক্টর পান ক্ষেত আক্রান্ত হয়েছে। অতিবৃষ্টির পর রোদের প্রখরতার উপর নির্ভর করছে ক্ষতির পরিমাণ কেমন হবে। অসংখ্য কৃষকের ঘেরের পড়ে ও জমিতে টমেটো গাছের চারা লাগানো ছিল। সেগুলো কি হবে তা বোঝা যাবে পানি কমে যাওয়ার পর। তবে ক্ষতি যাতে কম হয় সেভাবে কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
#