ইউএনসিসিডি কোপ১৬ এ টেকসই ভূমি ব্যবস্থাপনায় নারীর ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ বাংলাদেশের

 

টেকসই ভূমি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে এবং পরিবেশগত স্বাস্থ্য দীর্ঘমেয়াদে বজায় রাখতে নারীর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ, বলেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফাহরিনা আহমেদ। তিনি বলেন, মরুকরণ প্রতিরোধ ও জলবায়ু সহনশীলতা গড়ে তুলতে নারীর সক্রিয় অংশগ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে উদ্ভাবনী নীতিমালা এবং তৃণমূল পর্যায়ের উদ্যোগের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির কথাও তিনি তুলে ধরেন।

সৌদি আরবের রিয়াদে চলমান ইউএনসিসিডি (UNCCD) কোপ১৬এর অধীনে ৪ ডিসেম্বর “জেন্ডার ককাস: হারল্যান্ড: টেকসই ভূমি ব্যবস্থাপনায় নারীর নেতৃত্ব” শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের সংলাপ সেশনে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন। এই সেশনটি বৈশ্বিকভাবে টেকসই ভূমি ব্যবস্থাপনায় নারীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার ওপর আলোকপাত করে।

ড. ফাহরিনা আহমেদ নীতি কাঠামো এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় লিঙ্গ-সমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গি অন্তর্ভুক্তির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ভূমি ব্যবস্থাপনায় নারীর অংশগ্রহণ কেবল সমতাভিত্তিক উন্নয়ন নিশ্চিত করে না, বরং পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কমিউনিটি-ভিত্তিক সমাধান তৈরিতেও সহায়তা করে। বাংলাদেশের ভৌগোলিক ঝুঁকি সত্ত্বেও ভূমি ব্যবস্থাপনায় অর্জিত সফলতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বনভূমির পরিমাণ বৃদ্ধি এবং কমিউনিটি-নেতৃত্বাধীন প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্থ ভূমি পুনরুদ্ধার সম্ভব হয়েছে, যার নেতৃত্বে অনেক ক্ষেত্রেই নারী রয়েছেন।

সচিব উল্লেখ করেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDG), বিশেষত SDG ১৫-এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সকল পর্যায়ে নারীর নেতৃত্ব শক্তিশালী করার বিষয়ে সরকার কৌশলগত মনোযোগ দিচ্ছে। ড. ফাহরিনা আরও বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলে নারীদের নেতৃত্বে পরিচালিত কমিউনিটি-ভিত্তিক বন পুনরুদ্ধার প্রকল্পসমূহ শুধু স্থানীয় জীবিকাকে উন্নত করেনি, বরং পরিবেশের স্বাস্থ্যেরও উন্নয়ন ঘটিয়েছে।

এই সেশনে নীতি নির্ধারক, বিশেষজ্ঞ এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের কর্মীরা একত্রিত হয়ে ভূমি ক্ষয় ও মরুকরণ মোকাবিলায় নারীর নেতৃত্ব জোরদারের কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *