করোনাভাইরাসের প্রকোপ মোকাবেলায় দেশজুড়ে সাধারণ ছুটি চলছে। এর মাঝে চলেছে এসেছে ঈদের ছুটি। সব মিলিয়ে ছুটি গড়াচ্ছে ৩০ মে পর্যন্ত। সরকারি এ ছুটির সাথে মিল রেখে ছুটি বাড়িয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জও। বলা হয়েছে, এই সময় পর্যন্ত লেনদেন, সেটেলমেন্টসহ অন্য সব কার্যক্রম বন্ধ থাকবে স্টক এক্সচেঞ্জে।
অবশ্য ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যদি নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি রোববার (১৭ মে) থেকে লেনদেন চালানোর অনুমতি দেয়, তাহলে তারা ছুটি বাতিল করে লেনদেন শুরু করতে প্রস্তুত আছে।
তবে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, ঈদের আগে লেনদেন চালুর অনুমতি দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কারণ সংস্থাটি এখন নেতৃত্ব শূন্য। গত বৃহস্পতিবার বিএসইসির চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন তার মেয়াদ শেষ করেছেন। তার আগে মেয়াদ শেষ হয়েছে দু’জন কমিশনারের। বর্তমানে বিএসইসিতে মাত্র একজন কমিশনার আছে। নতুন চেয়ারম্যান-কমিশনার যোগ দেওয়ার আগে কমিশন বৈঠকের কোরাম পূর্ণ হবে না। তাই লেনদেন শুরুর জন্য ডিএসই যেসব আইনী শিথিলতা দাবি করেছে, সেগুলোর অনুমোদন দেওয়া সম্ভব নয়।
উল্লেখ, করোনার কারণে গত ২৭ মার্চ থেকে দেশে সাধারণ ছুটি চলছে। ওই ছুটির সাথে মিল রেখে ছুটিতে আছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে। পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোও বন্ধ। আর এ কারণে সাধারণ ছুটির শুরু থেকেই বন্ধ আছে পুঁজিবাজারের লেনদেন।
বেশ কিছুদিন ধরেই লেনদেন বন্ধ থাকার বিষয়টি নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে চলছে নানা আলোচনা। এর মধ্যে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ম্যানেজমেন্ট গত ৩ এপ্রিল লেনদেন শুরুর অনুমতি চেয়ে বিএসইসির কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, বিএসইসির অনুমতি সাপেক্ষে বাজারে লেনদেন শুরু করার জন্য প্রস্তুত তারা। চিঠিতে লেনদেন চালুর জন্য কয়েকটি বিষয়ে আইনের অব্যাহতিও চাওয়া হয়েছে।
ডিএসইর ওই চিঠির পর বিএসইসি, অর্থমন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে কিছু চিঠি চালাচালি হয়। তবে এর মধ্যেই শেষ হয়ে যায় নিয়ন্ত্রক সংস্থার চেয়ারম্যানের মেয়াদ। আর তাতে সাধারণ ছুটিতে লেনদেন শুরু সম্ভাবনা শূন্যে নেমে এসেছে।
পুঁজিবাজারে লেনদেন আরও কিছুদিন বন্ধ থাকার কারণে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের দুর্ভোগ আরও একটু বেড়ে গেল।