উত্তরের জেলা লালমনিরহাটে এবার বেশ আগে ভাগেই শীতের আগমনী বার্তা জানান দিতে শুরু করেছে। ভোরবেলা পড়তে শুরু করেছে হালকা কুয়াশা। সেই সঙ্গে মৃদু ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। প্রতি বছর অগ্রহায়ণ মাসের প্রথম সপ্তাহে এ জেলায় শীতের আগমন ঘটলেও এবার আগেই শুরু হয়েছে শীত।
রবিবার (১ নভেম্বর) ভোরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশায় ঢেকে রয়েছে রাস্ত-ঘাট। সড়কে-মহাসড়কে বাস-ট্রাকগুলো চলাচল করছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। ভোরে ও সকালে অনেকেই নিজ নিজ গন্তব্যে বের হয়েছেন হালকা গরম কাপড় গায়ে মুড়িয়ে। গাছিরা বের হয়েছে খেজুরের রস সংগ্রহে।আর ঘাসের ওপর ভোরের সূর্য হালকা লালচে রঙয়ের ঝিলিক দিচ্ছে।কমে আসছে রাতের তাপমাত্রা।
রবিবার সকালে জেলার বিভিন্ন জায়গায় গেলে এমনি দৃশ্যটি চোখে পড়ে। সারদিনের তীব্র গরম শেষে সন্ধ্যা থেকে শুরু হচ্ছে হালকা হিমেল হাওয়া সঙ্গে নামছে কুয়াশা।একদিকে যেমন শীতের আগমনে দেখা দিয়েছে কিছুটা স্বস্তি। অপরদিকে করোনা ভাইরাসের ফলে চিন্তিত রয়েছেন অনেকেও।
সারেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সবুজ ঘাসের ওপর ভোরের সূর্যের আলো হালকা লালচে রঙয়ের ঝিলিক। দূর থেকে দেখলে মনে হয় প্রতিটি ঘাসের মাথায় যেন মুক্তোর মতো শিশির কণা জমে আছে। আর শীতের এই আবহাওয়া অনুভব করতে সড়কে হাটা চলা করছেন অনেকই। কুয়াশায় চাদরে ঢেকে আছে রাস্তা-ঘাট। সড়কে যানবাহন চলছে ধীর গতিতে হেডলাইট জ্বালিয়ে। এসবই জানান দিচ্ছে প্রকৃতিতে এসেছে শীত।
চাষিরা জানান, হালকা শীতের আগমনে শাকসবজিতে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস আক্রমণ করে। ভাইরাসের কারণে শাকসবজির ফলনও কম হয় । বিভিন্ন ধরনের ভাইরাসের জন্য কীটনাশক সার ব্যবহার করতে হয়।
মূলত পৌষ-মাঘ এই দুই মাস শীতকাল ধরা হলেও আশ্বিন-কার্তিকের দিকেই গুটি গুটি পায়ে শীতের আগাম বার্তা জানায় দেয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর তথ্যমতে, দুদিন পর থেকেই শীত নামতে শুরু করবে। প্রথমে আসবে উত্তরের জেলাগুলোতে।