পুঁজিবাদী ব্রক্ষাণ্ডে মৃত্যু নামে
রা রা পড়েছে;
সকাল, বিকাল, রাত্রি নিয়ে পুঁজিবাদীরা ভয় পাচ্ছে ।
হকারের মুখে লাগাম লাগিয়ে দিয়েছে,
টিএসসিতে এখন কেউ বলে না- আফা পাঁচটা টাকা দেন, ভাত খামু!
ওদের কি আর ক্ষুধা পায় না?
আচ্ছা!
রাস্তায় থাকা কুঁড়েঘরের বৃদ্ধার কি মৃত্যুভয় নেই?
ওরা কি মৃত্যুভয় পায় না?প্রশ্নটা ভীষণ জোড়ালো,
ঠিক ঐ ভিখিরীর জলভেজা চোখে খাবারের আর্তনাদ,
আমি মরলে আমার গা দিয়া গন্ধ আইবো না,
আমার শরীর তো মাটি,
আমি কি তোগো মতো টেকা খাই!
আমি ভাত খাই! মোটা চালের ভাত!
অথচ,
বৃদ্ধা জানেই না
ওরা কি জানবে ক্ষুধার মর্ম?
ওরা তো ভাত খায় না!
ওরা ‘টেকা’ খায়।পুঁজিবাদী ব্রক্ষাণ্ডের ওরা সবাই পুঁজিবাদী।
ওরা টেকা খায়,
ওরা রাস্তার পাশে গড়ে ওঠা বস্তি খায়,
ওরা শ্রমিকের মজুরি খায়,
ওরা ফকির-মিসকিনের হক মেরে খায়;
শুধু ভাত খায় না।
কারণ ওরা পুঁজিবাদী ব্রক্ষাণ্ডের ঈশ্বর!
ওরা মানুষ খায় ।