করোনাযুদ্ধে পুরো বিশ্ব নতুন করে চিনিয়েছে চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্টজনদের। জানিয়েছে মানবতার নতুন সংজ্ঞা। করোনাযুদ্ধে থমকে যাওয়া পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবন জীবিকা যোগ করেছে নতুন সঙ্কট। চিকিৎসকদের পাশাপাশি মহামারি এই সঙ্কটের মাঝে সৃষ্ট সঙ্কট নিরসনে ভূমিকা রাখা মানুষরাও কিন্তু মানবতা শব্দটাকে পরিচয় করিয়েছে নতুনভাবে।
বিশেষ করে রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের আমাদের দেশের মানুষ দেখে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে। সেই দৃষ্টিভঙ্গিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বরাবরের ন্যায় করোনা ক্রান্তিকালীন সময়েও মানুষের পাশে থাকা এক রাজনীতিবিদ ড. আশরাফুল ইসলাম সজীব।
কক্সবাজার জেলা আওয়ামিলীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করা এই রাজনীতিবিদ করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই স্বাস্থ্যবিধির সচেতনতামূলক প্রচারণাসহ নগদ অর্থ ও খাদ্য সহায়তা নিয়ে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর পাশে থেকেছেন। বিশেষ করে তাঁর নিজ এলাকা কক্সবাজার জেলাধীন চকরিয়া-পেকুয়ার কর্মহীন দরিদ্র মানুষের কষ্ট লাঘবে মূখ্য ভূমিকা রেখেছেন বলে জানায় স্থানীয়রা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানতে পেরে পেকুয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চল রাজাখালীর এক অসহায় বৃদ্ধার পাশে দাঁড়িয়ে মানবতার অনন্য নজির স্থাপন করেছেন এই নেতা।
এ বিষয়ে রাজাখালী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইমরান হোসাইন জানান, এলাকার অসহায় এক বৃদ্ধার ঘরে এমনিতেই অভাব অনটন লেগে থাকে তৎমধ্যে করোনায় তা ভয়াবহ আকার ধারণ করলে আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই বৃদ্ধার জন্য সাহায্য কামনা করি। আর তা জেলা আওয়ামিলীগ নেতা ড. আশরাফুল ইসলাম সজীব ভাইয়ের দৃষ্টিগোচর হলে ওনি আমাকে ওই বৃদ্ধার সমস্যা নিরসনে অর্থনৈতিকভাবে সাহায্য পাঠায়।’
পেকুয়ার উজানটিয়া ইউনিয়নের এক বাসিন্দা জানান, করোনা পরিস্থিতির কারনে আমি যখন কর্মহীন হয়ে পড়েছিলাম ঠিক তখনি আওয়ামীলীগ নেতা সজীবের নগদ অর্থ ও খাদ্য সহায়তা এই সঙ্কটে ঠিকে থাকার সাহস যুগিয়েছে।’
এদিকে করোনা পরিস্থিতির শুরু থেকেই চকরিয়ার বিভিন্ন এলাকায় উপহার সামগ্রী পাঠানোর পাশাপাশি উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে স্থাপন করা আইসোলেশন সেন্টারের করোনা রোগীদের জন্যও এই আওয়ামীলীগ নেতা উপহার সামগ্রী সরবরাহ অব্যাহত রাখেন।
চকরিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক শামীমুল ইসলাম পাপেল মর্নিং নিউজ বিডিকে বলেন, ‘রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকার কারণে এলাকার মানুষ সমস্যায় পড়লে আমাদের কাছে আবদার করে। আমরাও চেষ্ঠা করি সাধারণ মানুষের সেই চাহিদা মেঠাতে। এই করোনা সঙ্কটে যখনি কোন মানুষের সমস্যার কথা ড. আশরাফুল ইসলাম সজীব ভাইকে জানিয়েছি মুহুর্তেই ওনি সাড়া দিয়েছেন মানুষের দুঃখ কষ্ট লাঘবে। যা এখনো পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে।’
ড. আশরাফুল ইসলাম সজীবকে একজন মানবিক নেতা আখ্যা দিয়ে এই ছাত্রনেতা আরও জানান, মানুষের পাশে থাকা ওনার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। শুধু এই করোনা সঙ্কটে নয় সর্বদা ওনি অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষের সাহায্য করার জন্য মুখিয়ে থাকেন।
উল্লেখ্য, এই তরুণ রাজনীতিবিদ শুধু এই করোনা প্রকোপে নয় বিভিন্ন সময়ে ক্ষুদার্তদের মুখে যেমন খাদ্য তুলে দিয়েছে তেমনি অর্থাভাবে চিকিৎসা না পাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে সমানতালে। গরীব অসহায় মেধাবী শিক্ষার্থীরাও যাতে পড়াশোনা থেকে ঝরে না পড়ে সেদিকেও রেখেছেন সজাগ দৃষ্টি।
বিশ্বস্তসূত্রে জানা যায় চকরিয়া-পেকুয়ার লোকমুখে এই আওয়ামিলীগ নেতার স্তুতি বিরাজমান। তাদের কাছে একটাই আলোচ্য বিষয় জাতীয় এই ক্রান্তিলগ্নে মানুষের দুঃখকে অবধারণ করতে পারে এমন রাজনীতিবিদ শুধু এই অঞ্চলের জন্য নয় সমগ্র দেশের জন্য সম্পদ ও দৃষ্ঠান্ত।
মানুষের পাশে থাকার বিষয়ে ড. আশরাফুল ইসলাম সজীবের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মানুষ হয়ে জন্ম নিয়ে মানুষের জন্য কিছু করতে পারাটাই তৃপ্তিদায়ক। আমার পিতা বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম বৃহত্তর মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। তখন মানুষের জন্য ওনার নিবেদন আমাকে প্রভাবিত করে। যার প্রতিফলন ঘটানোর চেষ্ঠা করি আমি।
সমাজের অপেক্ষাকৃত বিত্তশালীদের এই সঙ্কটে মানুষের তরে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে এই তরুণ রাজনীতিবিদ বলেন, আমি জানি প্রতিটি মানুষের সীমাবদ্ধতা থাকে। তবে সদিচ্ছা থাকলে কোন প্রতিবন্ধকতা বাধা হয়ে দাঁড়ায়না। তাই জননেত্রী শেখ হাসিনার উপর বিশ্বাস রেখে মানুষের ডাকে সাড়া দিয়ে এই বিশ্ব সঙ্কট হতে উত্তরণ হতে হবে।
প্রসঙ্গত ড. আশরাফুল ইসলাম সজীব একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৪ (কক্সবাজার-১) চকরিয়া-পেকুয়া আসনে আওয়ামিলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি মনোনয়ন পাওয়া বর্তমান সাংসদ জাফর আলমকে নির্বাচিত করতে মাঠ পর্যায়ে জোরালো ভূমিকা রাখেন।
প্রাণ হন্তারক কোভিড-১৯ এর আগ্রাসনে আজ পুরো বিশ্ব অসহায়। পৃথিবীর অসুখে বাংলাদেশ তথা বিশ্বের শক্তিশালী রাষ্ট্র সমূহের অর্থনীতি আজ হুমকির মুখে। ভেঙ্গেও পড়েছে প্রায় দেশে। আশঙ্কা করা হচ্ছে বড় এক দুর্ভিক্ষের। যার প্রেক্ষিতে হাজারো সীমাবদ্ধতার মাঝে ড. আশরাফুল ইসলামদের মতো মানুষের জন্য মানুষকেই এগিয়ে আসতে হবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা।