করোনায় মারা গেলেন ঝালকাঠি গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী

 

ঝালকাঠি গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জনাব মোঃ আব্দুল্লাহ আল-মাসুম।

মঙ্গলবার (১১ মে)  দুপুর ২:৩০ মিনিটে করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজেউন)।

তিনি একজন দক্ষ প্রকৌশলী, বিনয়ী, সদালাপী ও দায়িত্ববান কর্মকর্তা ছিলেন । তিনি খুলনায় জন্মগ্রহন করেন এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পূরকৌশল বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করে ২৪তম বিসিএস এর মাধ্যমে গণপূর্ত অধিদপ্তরে যোগদান করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী এবং দুই সন্তান রেখে গেছেন। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, মো: শহীদ উল্লা খন্দকার তাঁর এই মৃত্যুতে গভীর শোক এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সহমর্মিতা প্রকাশ করেছেন। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে মরহুমের রূহের শান্তি ও মাগফিরাত কামনা করার জন্য গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সকলের নিকট অনুরোধ করেছেন।

এখানে উল্ল্যেখ্য যে, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মো: শহীদ উল্লা খন্দকার করোনায় আক্রান্ত হয়ে বেশ কিছুদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এ ছাড়া এই মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ন-সচিব, উপ-সচিবসহ ১৫ জন কর্মকর্তা কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন। সরকারের চলমান উন্নয়ন মূলক কাজের ধারা অব্যহত রাখতে এবং বিশেষত স্বাস্থ্য সেক্টরের ঝুঁকিপূর্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজসমূহ যথা সময়ে সমাপ্ত করার লক্ষ্যে গণপূর্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারিগণ নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। সরকারি দায়িত্ব পালনকালে গণপূর্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ৭জন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ৮জন, নির্বাহী প্রকৌশলী ১৫ জনসহ বিভিন্ন পর্যায়ে প্রায় ৯০ জন কর্মকর্তা ইতিমধ্যেই কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন।

করোনা সংকট মোকাবেলায় সহ-যোদ্ধা হিসেবে করোনা রোগী সনাক্ত করণ, সন্দেহভাজন রোগীদের আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টাইন, করোনা আক্তান্ত রোগীদের চিকিৎসা ও আইসিইউ এর ভৌত অবকাঠোমো নির্মাণ, ডাক্তার-নার্সদের অস্থায়ী আবাসন ব্যবস্থা ইত্যাদি নানাবিধ কাজ গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী ও সচিব মহোদয়ের নির্দেশনায় গণপূর্ত অধিদপ্তরের সকল স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। গণপূর্ত অধিদপ্তর’ যে সব কাজ করেছে তার মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হলোঃ- হাসপাতালসমূহে আরটি-পিসিয়ার ল্যাব এর অবকাঠামো নির্মাণ, আইসোলেশন ইউনিট, কোয়ারেন্টাইন সেন্টার, করোনা ইউনিট স্থাপন, সরকারি স্থাপনা সমূহে নিরবিচ্ছিন্ন পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করণসহ জীবাণুনাশক ছিটানো ইত্যাদি। কোভিড সমস্যার শুরু থেকে গণপূর্ত অধিদফতরের প্রকৌশলীরা জীবনের ঝুকি নিয়ে সারাদেশের হাসপাতালগুলোতে এই সমস্ত কাজ জরুরি ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করেছে। ইতোমধ্যেই গণপূর্ত অধিদফতর অতি দ্রুততার সাথে ৫১টি জেলা হাসপাতাল ও ১৮টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরটি-পিসিয়ার ল্যাব, আইসিইউ সুবিধাসহ পৃথক করোনা ওয়ার্ড নির্মান করতে সক্ষম হয়েছে। সম্প্রতি বিষেশায়িত হাসপাতালসমূহে ৫০০টি পৃথক আইসোলেশন বেড নির্মাণ করা হয়েছে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *