বিশ্বব্যাপী করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে স্বাস্থ্যব্যবস্থার প্রতিটি স্তর। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশেও গত ৮ মার্চ প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হওয়ার পরবর্তী সময় হতে অদ্যাবধি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলো করোনা উপসর্গের রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে অপারগতা দেখিয়ে আসছে। এমনকি করোনা নেগেটিভ আসার পরও শ্বাসকষ্টে ভোগা রোগীদের চিকিৎসা পেতে হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। ফলে এসব রোগীদের বিনা চিকিৎসায় মারা যাওয়ার মতো মর্মান্তিক ঘটনাও দেখতে হয়েছে। এমতবস্থায় নড়েচড়ে বসেছে সরকার, জারি করেছে কঠোর হুঁশিয়ারি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের বেসরকারি হাসপাতালগুলো নতুন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী করোনা উপসর্গের কোনো রোগীকে বিনা চিকিৎসায় ফেরাবেস না তারা।
একই হাসপাতালে কোভিড ও নন-কোভিড রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য পৃথক ব্যবস্থা করতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দেওয়া নির্দেশনার আলোকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেসরকারি হাসপাতালগুলো।
মঙ্গলবার (২৬ মে) রাতে প্রাইভেট ক্লিনিক ওনার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক, ম্যাক্স হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. লিয়াকত আলী খান মর্নিং নিউজ বিডিকে এসব কথা জানিয়েছেন। করোনা নেগেটিভ হলেও শ্বাসকষ্টে ভোগা রোগীদের ভর্তি না নেওয়ার বিষয়ে বেসরকারি হাসপাতালগুলো কোনো অঘোষিত সিদ্ধান্ত নিয়েছে কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এখন আর কোনো রোগীকে ফেরত দেওয়ার সুযোগ নেই, করোনা হলেও না।’
উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়া কোনো রোগীর করোনা পজিটিভ হলে সেক্ষেত্রে চিকিৎসাব্যবস্থা চালু রাখার নিরিখে হাসপাতাল লকডাউন করা যাবে না। এমনকি কোনো চিকিৎসককেও কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হতে বিরত থাকার কথা জানিয়েছেন এই চিকিৎসক নেতা।