চট্টগ্রামের বাকলিয়ায় কাউন্সিলর প্রার্থী নুরুল আলম মিয়াকে ফাঁসাতে শিশু আরাফ হত্যাকাণ্ডে আরও দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১০ জুন) তাদের দুইজনকে গ্রেফতার করা হয় বলে মর্নিং নিউজ বিডিকে জানান চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (চকবাজার জোন) মুহাম্মদ রাইসুল ইসলাম।
গ্রেফতার হওয়া মো. ফরিদ (৩৮) ও মো. হাসান (২৩) হলো হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী। তৎমধ্যে ফরিদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতা কাউন্সিলর প্রার্থী নুরুল আলম মিয়ার পূর্ব থেকে বিরোধ ছিল বলে স্থানীয়সূত্র জানায়।
অন্যদিকে হাসান আরাফের হত্যকারী ইতোমধ্যে আদালতে জবানবন্দি দেওয়া নাজমা বেগমের ছেলে। হাসানের প্রত্যক্ষ সহায়তায় নাজমা বেগম আরাফকে হত্যা করে বলে অভিযোগ রয়েছে।
৭ জুন বাকলিয়া থানার ম্যাচ ফ্যাক্টরী রোডে নুরুল আলম মিয়ার বাড়ির ছাদের ট্যাংক হতে আবদুর রহমান আরাফের (২) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৯ জুন) এ ঘটনায় নাজমা বেগম নামের এক আসামিকে গ্রেফতার করে বাকলিয়া থানা পুলিশ আদালতে পাঠালে আসামী নাজমা হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেয় আদালতে।
বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নেজাম উদ্দীন মর্নিং নিউজ বিডিকে বলেন, ‘আরাফ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ফরিদ ও হাসানকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাইলে আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে অন্য কেউ জড়িত থাকলে আশাকরি বেরিয়ে আসবে।’
প্রসঙ্গত আওয়ামিলীগ নেতা কাউন্সিলর প্রার্থী নুরুল আলম মিয়ার সাথে বাকলিয়ার ফরিদের নির্বাচনকেন্দ্রিক দীর্ঘদিনের বিরোধ চলে আসতেছে। ফরিদ গত ৭ জুন নাজমা বেগমের অসচ্ছলতাকে কাজে লাগিয়ে টাকার লোভ দেখিয়ে নুরুল আলমের ভাড়াটিয়া আব্দুল কাইয়ুমের ছেলে আরাফকে হত্যায় প্ররোচিত করে। নাজমা বেগম কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর এলাকার তাজুনুর ইসলাম প্রকাশ বাবুলের স্ত্রী। তিনি বাকলিয়া থানার ম্যাচ ফ্যাক্টরী রোডে নুরুল আলম মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।