খুলনা মহানগরের ১৭ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ড এবং জেলার রূপসা উপজেলার আইচগাতি ইউনিয়নকে রেড জোন ঘোষণা করে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন ও করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ সংক্রান্ত খুলনা জেলা কমিটি।
সোমবার (২২ জুন) দুপুরে জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উল্লেখিত তিন এলাকা রেড জোন ঘোষণা করে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় জানানো হয়, নমুনা জমা দেওয়ার পর রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত ওই ব্যক্তিকে স্বেচ্ছায় বাড়ি বা বাসায় অবরুদ্ধ হয়ে থাকতে হবে। ল্যাবের ধারণ ক্ষমতার তুলনায় নমুনা সংগ্রহ বেশি হওয়ায় রির্পোট দিতে বিলম্ব ঘটছে।
এতে আরও জানানো হয়, আগামী ২৫ জুন মধ্যরাত থেকে খুলনা সিটি করপোরেশনের ১৭ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ড এবং রূপসার আইচগাতি ইউনিয়নে অধিকমাত্রায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ায় এ তিনটি এলাকা রেড জোনের আওতায় নিয়ে লকডাউন করা হবে। আগামী ১৬ জুলাই পর্যন্ত এ লকডাউন কার্যকর থাকবে। লকডাউন এলাকার সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড, খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং কাঁচাবাজারসমূহ লকডাউনের আওতামুক্ত থাকবে। লকডাউন শুরুর আগে ওইসব এলাকায় মাইকিং করে জনসাধারণকে জানানো হবে।
বর্তমানে জেলায় শপিংমলসহ দোকান-পাট আগামী ২৫ জুন পর্যন্ত খোলা থাকবে। আগামী ২৬ জুন থেকে সপ্তাহে রবি, সোম ও মঙ্গলবার তিনদিন বিকেল ৫টা পর্যন্ত শপিংমল ও দোকানপাট খোলা রাখা যাবে।
সভায় সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, ঈদের সময় জনসাধারণের যথেচ্ছ চলাফেরায় খুলনায় করোন ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েছে। আমরা যদি আজকের সভার সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়ন করি এবং সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধিগুলো মেনে চলি তাহলে সবার প্রচেষ্টায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে আমরা মুক্ত হতে পারবো।
এসময় সভায় উপস্থিত ছিলেন-সভায় খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, বিভাগীয় কমিশনার ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, খুলনা স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ডা. রাশেদা সুলতানা, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসালম, পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ, খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুন্সী মো. রেজা সেকেন্দার, খুলনা মেডিক্যাল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ, খুলনার সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ, খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপপ্রধান তথ্য অফিসার ম. জাভেদ ইকবাল, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জিয়াউর রহমান, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপপরিচালক মো. আব্দুল আলিম, খুলনা প্রেসক্লাবে সভাপতি এসএম নজরুল ইসলামসহ অন্য সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা।