দেশে গত চব্বিশ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে রেকর্ড ২ হাজার ৫২৩ জনের শরীরে।
বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগীর খোঁজ মেলার পর শুক্রবার সকাল আটটা পর্যন্ত মোট আক্রান্ত দাঁড়িয়েছে ৪২ হাজার ৮৪৪ জন।
এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৫৮২ জনের। চব্বিশ ঘণ্টায় নতুন ৫৯০ জনসহ সুস্থ হয়েছেন মোট হাজার ৯ হাজার ১৫ জন।
দেশে করোনার নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ২২.৩৩ শতাংশ; মৃত্যু হার ১.৩৬ শতাংশ; সুস্থতার হার ২১.০৪ শতাংশ।
এর আগে দেশে করোনাভাইরাসে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড ছিল ২ হাজার ২৯ জন, গত ২৮ মে। আর সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ডটি হয়েছে গত ২৪ মে, ২৮ জন।
দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে শুক্রবার দুপুরে এসব হালনাগাদ তথ্য তুলে ধরেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি জানান, নতুন মৃত্যুবরণ করা ২৩ জনের ১৯ জন পুরুষ, চারজন নারী। ঢাকা বিভাগের ১০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৯ জন, রংপুর দুজন, বরিশাল বিভাগে একজন এবং সিলেট বিভাগে একজন।
তাদের বয়স ১১-২০ বছরের মধ্যে একজন, ২১-৩০ বছরের মধ্যে একজন, ৩১-৪০ বছরের মধ্যে দুজন, ৪০-৫০ বছরের মধ্যে পাঁচজন, ৫১-৬০ বছরের মধ্যে পাঁচজন, ৬১-৭০ বছরের মধ্যে ছয়জন, ৭০-৮০ বছরের মধ্যে দুজন এবং ৮১-৯০ বছরের মধ্যে একজন।
বুলেটিনে বলা হয়, চব্বিশ ঘণ্টায় দেশে ৪৯টি ল্যাবে কভিড-১৯ সংক্রান্ত ১২ হাজার ৯৮২টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে; পরীক্ষা করা হয়েছে ১১ হাজার ৩০১টি নমুনা।
চব্বিশ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে ৩২৮ জনকে; ছাড় পেয়েছেন ১৭২ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৫ হাজার ১৪০ জন।
কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া হয়েছে ৪ হাজার ৯০০ জনকে; ছাড় পেয়েছেন ২ হাজার ৯১৮ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৬০ হাজার ২৭৫ জন।