করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে বন্ধ হয়ে থাকা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা-কার্যক্রম সীমিত পরিসরে চালু করা হবে কি না সে বিষয়ে শনিবার (৩০ মে) সিদ্ধান্ত নেবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার (২৯ মে) রাত সাড়ে ৯টায় এ বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর এসএম মনিরুল হাসান। তিনি আরও জানান, ‘সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসসমূহ খোলার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এখন যেহেতু ইউজিসি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ ১৫ জুন পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত দিয়েছে, তাই আমরা আগামীকাল (শনিবার) চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবো।’
এর আগে শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয় তথ্য ও ফটোগ্রাফি শাখা থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে ৩১ মে থেকে সীমিত পরিসরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিশিয়াল কার্যক্রম চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্লাস ও পরীক্ষা পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। অফিসসমূহ খোলার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা শনিবার (৩০ মে) বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে, গত ২৮ মে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে নির্দেশনা প্রদান করেন। এই নির্দেশনার পরপরই বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) সকল পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়।
সরকারের দুই শীর্ষ পর্যায় থেকে স্পষ্ট নির্দেশনা আসার পরও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সীমিত পরিসরে চালু করার সিদ্ধান্তে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো স্পর্শকাতর প্রতিষ্ঠান করোনা পরিস্থিতিতে খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ভেবেচিন্তে এগুনো উচিত।’