জবির রোভার স্কাউটের নির্বাচন, শেয়ালের কাছে মুরগী পোষানি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) রোভার স্কাউটের নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের তীর খোদ নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধেই। অভিযোগ নিয়মবহির্ভূতভাবে নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করার। এ যেনো শেয়ালের কাছে মুরগী পোষানি দেওয়ার গল্প।

শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হচ্ছে জবি রোভারের নির্বাচন। প্রার্থীরা বলছেন, বর্তমান কমিটির সভাপতি আহসান হাবীব নির্বাচন কমিশনার হওয়া সত্ত্বেও পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে নিয়ম ভেঙে কোমর বেঁধে নেমেছেন। পছন্দের প্রার্থী কামরুলকে পদ পাইয়ে দিতেই তার এই নীতিভঙ্গ।

প্রার্থীরা জানান, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের কামরুল ইসলামকে বিজয়ী করতে নির্বাচন কমিশনার দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ভোটারদের নিজ খরচে ঢাকা আনছেন। ভোটারদের ভোট দিতে প্রভাবিত করছেন। এর প্রমাণসহ বেশ কিছু স্ক্রিনশর্ট প্রতিবেদকের হাতে এসেছে।

মূলত বিশ্ববিদ্যালয় ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও নির্বাচনে হেভিওয়েট প্রার্থী নাজমুল হাসান মুন্নাকে সড়াতেই এই আয়োজন। স্ক্রিনশর্টগুলো থেকে এমনটাই জানা গেছে। ম্যাসেঞ্জার আলাপনে দেখা যায়, নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব লিখেছেন, “ওকে (মুন্না) বাদ করতে হবে, ঐদিনের এটিটিউড দেখলেনা, ওকে রাখলে ঝামেলা হবে।”

এবিষয়ে নাজমুল হাসান মুন্না বলেন, বর্তমান সভাপতি তার নির্বাচনি আচরণ বিধিমালা ভঙ্গ করে নিজের মত করে জুনিয়রদের ফোন দিয়ে সরাসরি মোটিভেট করে ভোট চাওয়ার মত নীতি বর্হিভূত অচারনের মাধ্যমে সংগঠনকে কলঙ্কিত করেছেন। টাকা দিয়ে ভোটারদের ঢাকা আনার ব্যাবস্থার মাধ্যমে ভোট ক্রয়ের মত নীতিহীন কাজ করেছেন।

অভিযুক্ত নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবীবের সাথে যোগাযোগ করতে মুঠোফোনে ফোন দেওয়া হলে তিনি বার বার ফোন কেটে দেন।

অনিয়মের বিষয়ে গ্রুপ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান খন্দকারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা রোভারের ইলেকশনে শিক্ষকরা কোনো হস্তক্ষেপ করি না, শিক্ষার্থীরা নিজেদের মতো নির্বাচন করে, আমরা তাদের নির্দেশনা দিই যাতে শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করে। তবে তেমন কিছু হয়ে থাকলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবো।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *