কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় আওয়ামীলীগ কর্মীকে মধ্যযুগীয় কায়দায় বর্বরোচিতভাবে শারিরীক লাঞ্ছনার অভিযোগ উঠেছে জামাত নেতার বিরুদ্ধে। উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি নুরুল ইসলামকে ধর্মীয় প্রার্থনা না করা অযুহাতে শারিরীক নির্যাতন করেছে জামায়াতে ইসলামী পেকুয়া উপজেলা মজলিস শুরার সদস্য, বারাবাকিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা বদিউল আলম জিহাদী। রোববার (২৪ মে) রাত ৮.০০ ঘটিকার দিকে আন্নর আলী পাড়া জামে মসজিদে নুরুল ইসলাম এশার নামাজ আদায় করতে গেলে এই ঘটনা ঘটে। আহত নুরুল ইসলাম একই এলাকার মৃত বজরুজ মিয়ার পুত্র।
ভুক্তভোগী নুরুল ইসলাম জানায়, চেয়ারম্যান তার দুই শ্যালক আহমদ উল্লাহ এবং সেলিমকে সাথে নিয়ে ধর্ম কর্ম পালন না করার অভিযোগ তুলে ইলেকট্রনিকস তার ও লোহার রড দিয়ে নির্মমভাবে তাকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, তার দুই শিশুও এই নির্যাতন থেকে রক্ষা পায়নি।
৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মোক্তার আহমদের কাছ হতে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “রক্তাক্ত অবস্থায় আমি নুরুল ইসলামকে ঘটনাস্থল হতে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। মাওলানা সাহেব নামাজ রোযা ও ধর্ম কর্ম পালন না করার অভিযোগ দিয়ে ওনার মতাদর্শ বিরোধী সাধারণ মানুষদের দীর্ঘদিন ধরে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে আসছে।” এমতবস্থায় আইনগতভাবে যদি কোন ব্যবস্থা নেওয়া না হয় তাহলে অত্র অঞ্চলের প্রতিটি মানুষ এই অপশাসনের শিকার হবে বলে আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন এই আওয়ামিলীগ নেতা।
অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে তাদেরকে রোজা না রাখার কারণে শাস্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানান মাওলানা বদিউল আলম জিহাদী। তিনি আরও বলেন বাংলাদেশের আইন সম্পর্কে জানতে তিনি অতটা আগ্রহী নয়। তাঁর কাছে ইসলাম ধর্মই আইন।