জার্মানির স্টুটগার্ট শহরে কয়েকশ তরুণ পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ এবং ভাঙচুর চালিয়েছে৷ শনিবার দিবাগত রাতে শুরু হয়ে রবিবার ভোর পর্যন্ত চলে এই সংঘর্ষ,পুলিশের ওপর শারীরিক হামলা ছাড়াও কয়েকটি দোকানপাট ভেঙ্গে ফেলেন বিক্ষোভকারীরা।
সোমবার (২২ জুন) জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেল এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন৷
স্টুটগার্ট পুলিশের ডেপুটি প্রধান “টমাস বেরগার” জানান, মাদক ব্যবহার করাকে কেন্দ্র করে পুলিশ ১৭ বছর বয়সি এক তরুণকে তল্লাশি শুরু করলে ঘটনার সূত্রপাত হয়৷ এরপরই শহরের অন্যতম জনবহুল এলাকা শ্লসপ্লাজে তরুণরা জমায়েত হতে থাকে এবং এক পর্যায়ে পুলিশের দিকে হামলা শুরু করে তারা৷ এই সময় পুলিশের দিকে বিয়ারের বোতল ছোড়া হয়৷
সেখান থেকেই ঘটনা বাড়তে বাড়তে প্রবল দাঙ্গায় রুপ নেয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ এর সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয় প্রায় পাঁচ শতাধিক তরুণদের যাদের বেশির ভাগের বয়স ২০ এর নিচে। ঘটনার এক পর্যায়ে ২০ জনেরও বেশি পুলিশ সদস্য আহত হন এবং ২৫ জন তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এই বিষয়ে সোমবার জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের মুখপাত্র স্টেফেন জাইবার্ট বলেন, ‘‘যারাই এই কাজ করেছে, তারা আসলে স্টুটগার্ট শহরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায় ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্স্ট জেহোফার এই সংঘর্ষকে আইনশৃঙ্খলার জন্য একটি নেতিবাচক সতর্কতা বলে মন্তব্য করেছেন৷ তিনি আরও বলেন, ‘‘আক্রমণ ও অপমান এটা চরম অপমানজনক আচরণ, যা শারীরিক আঘাতের মতোই বেদনাদায়ক৷
উল্লেখ্য, সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আলোচিত একটি ঘটনার পর থেকে জার্মানিতেও পুলিশি সহিংসতা ও তাদের কাজকর্মে বর্ণবৈষম্যের প্রতিফলন নিয়ে বেশ কিছু ছোট ছোট বিক্ষোভ হয়েছে৷ কিছু দিন আগে স্টুটগার্টের একটি বহুতল ভবনে কোয়ারান্টিন বিষয়ক বিধিনিষেধ আরোপ করতে গিয়ে প্রায় ৭০০ জনের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হন কয়েকজন পুলিশকর্মী৷