ঝিনাইদহে গরু-ছাগল দিয়ে পাটক্ষেত সাবাড়, থানায় অভিযোগ দায়ের

গরু-ছাগল দিয়ে পাটক্ষেত সাবাড়, থানায় অভিযোগ দায়ের

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ৯ নম্বর পোড়াহাটী ইউনিয়নের চুয়াডাঙ্গা গ্রামের কৃষক মোঃ সাইফুল ইসলাম, তিনি ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, চুয়াডাঙ্গা গ্রামের দক্ষিণ মাঠে ৬৯ শতাংশ জমিতে এবার তিনি পাট চাষ করেছিলেন কিন্তু তার পাটক্ষেত গরু ছাগল দিয়ে খাইয়ে সাবাড় করে দিয়েছে একই গ্রামের মোজাফফর ও লিমনসহ সহ ৬ জন মিলে। গ্রাম্য সালিশে তাদের ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার উক্ত টাকা বাকি চারজন প্রদান করলেও মোজাফফর ও লিমন দিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং কৃষক সাইফুল ইসলামকে নানাভাবে হুমকি-ধামকি প্রদান করে আসছে।

সাইফুল ইসলামের পিতা কৃষক আজিবর মন্ডল বলেন, ১১ জুন শনিবার বিকেলে মোজাফফর ও লিমনসহ সকলে গরু-ছাগল দিয়ে পাটক্ষেত খাইয়ে দেয়। তাদের কিছু বলতে গেলে তারা উল্টো হুমকি-ধামকি প্রদান করে আসছে। একই গ্রামের কৃষক মোজাম্মেল মন্ডল বলেন, সাইফুলের পাটক্ষেত গরু ও ছাগল খাইয়ে দিয়েছে ওরা। আরও অনেকের ফসল প্রতিনিয়ত নষ্ট করে কিন্তু কিছু বলতে গেলে বলে যদি পারো কিছু করে নিও আমরা এভাবে ক্ষেত আওয়াবো। কৃষক সাত্তার বলেন, ওরা গরু ছাগল ছেড়ে দেয়, কারো কোন কথা শুনেনা।

এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে কৃষক সাইফুল ইসলাম ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি বলেন, আমার অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেল ওরা প্রতিনিয়ত আমাদের মাঠের ফসল খাইয়ে দেয় গরু ও ছাগল দিয়ে। কিছু বলতে গেলে তাকে ওরা হুমকি-ধামকি দেয়। আমার ৬৯ শতক জমির পাট খাইয়ে দিয়েছে।

স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি মোঃ বশির উদ্দিন বলেন, কৃষক সাইফুল আমাকে জানায় তার জমির পাট খাইয়ে দিয়েছে। আমরা স্থানীয়রা মিলে শরিফুল ফিলিং স্টেশনের পাশের দোকানে বসে মীমাংসা করি এবং ৩০ হাজার টাকায় নিষ্পত্তি করি। বাকি চারজন পাঁচ হাজার করে মোট ২০ হাজার টাকা দিলেও মোজাফফর ও লিমন টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং সাইফুলকে নানাবিধ হুমকি প্রদান করে। উপায় না দেখে সাইফুল ঝিনাইদহ সদর থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্ত কর্মকর্তা বাংলাদেশ পুলিশের এএসআই লিটন বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি এবং বিষয়টি খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছি। ঘটনার সত্যতা যাচাই করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *