আধিপত্য বিস্তার নিয়ে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার গন্ডব গ্রামে ট্রিপল মার্ডারের মধ্যে মোক্তার মোল্লা (চাচা) ও তার আপন ভাতিজা হাবিল মোল্লা হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গ্রামবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কাশিপুর ইউনিয়নের গন্ডব গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে মিরাজ মোল্লার নেতৃত্বাধীন গ্রুপ এবং সুলতান মাহমুদ বিপ্লব নেতৃত্বাধীন গ্রুপের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ বিরোধের জের ধরে উভয় গ্রুপ বুধবার দুপুর ৩টার দিকে ঢাল, সড়কি, রামদাসহ নানান দেশীয় অস্ত্র নিয়ে গন্ডব গ্রামের গো-হালটে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে শেখ সুলতান মাহমুদ বিপ্লব পক্ষের লোকের ধারালো অস্ত্রের কোপে গন্ডব গ্রামের মৃত মাজেদ মোল্লার ছেলে মোক্তার মোল্লা (চাচা)-সহ ভাতিজা একই গ্রামের মনতাজ মোল্লার ছেলে হাবিবুর রহমান ওরফে হাবিল মোল্লা নিহত হন। এছাড়াও সাইফার মোল্লার ছেলে রফিক মোল্লাও নিহত হন।
গ্রামবাসী অভিযোগ করেন, ইয়াবা ব্যবসায়ী ও জেলা পরিষদের সদস্য সুলতান মাহমুদ বিপ্লব এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। এ হত্যাকাণ্ডে বিপ্লবকে নানাভাবে সহযোগিতা করেছেন তার চাচা ডিআইজি শেখ নাজমুল আলম।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, শুক্রবার (১২ জুন) রাতে গন্ডব গ্রামের মোমরেজ মোল্লা বাদী হয়ে ৭৭ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং-১২। দায়েরকৃত মামলায় ট্রিপল মার্ডারের মূল হোতা ইয়াবা ব্যবসায়ী, জুয়াড়ি ও নড়াইল জেলা পরিষদের সদস্য শেখ সুলতান মাহমুদ বিপ্লবকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও হত্যাকাণ্ডের দিন একই বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষরা ওই গ্রামের সাত্তার মোল্লার ছেলে এএসআই ওসমান (এসবি, ঢাকায় কর্মরত)-কে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় শুক্রবার (১২ জুন) রাতে মো: কিবরিয়া মোল্লা বাদী হয়ে ১৭ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং-১১।
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আশিকুর রহমান জানান, অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রামের বর্তমান পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে। রফিক হত্যার ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।