সরকারের সুদ পরিশোধ বাবদ ব্যয় কমানো এবং আমানতকারীদের ব্যাংকে পাঠাতে ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকে বিনিয়োগের সীমা দুই-তৃতীয়াংশ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮) অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এখন থেকে ডাকঘর সঞ্চয় হিসাবে একক নামে ১০ লাখ টাকা আর যৌথ নামে ২০ লাখ টাকা রাখা যাবে। যা আগে ছিল যথাক্রমে ৩০ লাখ ও ৬০ লাখ টাকা।
প্রজ্ঞাপনে তারিখ দেওয়া হয়েছে ১৮ মে এবং ওই তারিখ থেকেই আদেশ কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, সাধারণ হিসাবে যে কোনো পরিমাণে টাকা জমা রাখা যায়। যে কোনো সময় টাকা জমা করা যায়। তবে জমার পরিমাণ নির্ধারিত সীমার মধ্যে রাখতে হবে। এ হিসাবে বিনিয়োগ করলে এক মাসেও মুনাফা দেয়া হয়। মুনাফার হার গড়ে ৫ শতাংশ। সব শ্রেণির-পেশার পাশাপাশি এমনকি নাবালকের নামেও এ ধরনের হিসাব খুলে বিনিয়োগ করা যায়।
সংশোধিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ডাকঘর সঞ্চয় স্কিমের সাধারণ হিসাবের ক্ষেত্রে সুদহার হবে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। এছাড়া তিনবছর মেয়াদি ডাকঘর সঞ্চয় স্কিমের সুদের হার হবে ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ। মেয়াদ পূর্তির আগে ভাঙানোর ক্ষেত্রে এক বছরের জন্য সুদ পাওয়া যাবে ১০ দশমিক ২০ শতাংশ। দুই বছরের ক্ষেত্রে ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ।
এ হিসাব শুধু ডাকঘরগুলোতে পরিচালিত হয়। জেলা ও থানা সদরের সব উপজেলার ডাকঘরে এ হিসাব পরিচালিত হয়। এগুলোতে গিয়ে এসব হিসাব খোলা যাবে। মেয়াদ শেষে গ্রাহক টাকাও তুলতে পারেন। তবে মুনাফার ওপর ৫ শতাংশ হারে উৎসে আয়কর কেটে রাখা হয়।