ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সাবেক ছাত্রী ও গৃহবধু সুমাইয়া বেগমের লাশ উদ্ধারের ওই ছাত্রীর মা হত্যা মামলা করেছেন। গতরাতের মামলার প্রেক্ষিতে রাতেই এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নিহত সুমাইয়ার চাচা মোহাম্মদ আলী জানান, সুমাইয়ার মা নুজহাত ৪ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা করেন।
নিহত সুমাইয়ার ভাই সালাহ উদ্দিন বলেন, তার বোনকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যার পর ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে প্রচার করা হয়েছিলো। পরবর্তীতে সন্ধ্যার দিকে তারা নিশ্চিত হন এটা হত্যা ।তাই মামলা করা হয়েছে।
সুমাইয়ার মা নুজহাত জানান, ২০১৯ সালের ১৪ এপ্রিল বিয়ে করে পর থেকে তার জামাতা হরিশপুর এলাকার মোস্তাক তার শশুড়ের থেকে বিভিন্ন সময় টাকা নিতো। এছাড়া মোস্তাকের বাড়ির আসবাব পত্র সব কিছু তার স্বামী করে দিয়েছিলেন। ৮ মাস আগে তার স্বামী সিদ্দিকুর রহমান মারা যান। স্বামীর মৃত্যুর পরও তার জামাতা টাকা চাইতো। কিন্তু তার মেয়ে তাকে কিছু না বলে বিসিএসের প্রস্তুতি নেয় । নিজেই আয় করে স্বামীর পরিবারকে সহযোগিতা করবে। কিন্তু এটা মেনে নিতে পারেনি তার পরিবার। তাই তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে। নুজহাত বলেন,তিনি হত্যার বিচার চান।
শহরতলীর হরিশপুরে মোস্তাকের বাড়িতে গেলে কাউকে পাওয়া যায়নি, বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এব্যাপারে নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, প্রথমে এই ঘটনায় কেউ অভিযোগ না দেয়ায় পুলিশের পক্ষ থেকে ইউডি মামলা করা হয়েছিলো। পরবর্তীতে সুমাইয়ার পরিবার থেকে হত্যার অভিযোগ আসায় রাতে হত্যা মামলা নেয়া হয়েছে।পাশাপাশি ১ জন অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গতাকাল সকালে স্বামীর বাড়ি থেকে মৃত অবস্থায় নাটোর সদর হাসপাতালে আনা হয়। এরপর সুমাইয়া গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করা হয় মোস্তাকের পরিবার থেকে। তবে গতকাল সন্ধ্যায় সুমাইয়ার মা নুজহাত এটি পরিকল্পিত হত্যা কান্ড বলে অভিযোগ করেন।