নাটোরে গ্রাহকদের লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে গেছেন এনজিও মালিক। টাকা না পেয়ে গ্রাহকেরা এখন ভিড় জমাচ্ছেন এনজিও মালিক কামরুল ইসলামের বাড়িতে। কামরুল ইসলাম মাঝদিঘা পূর্বপাড়া ওলি প্রামাণিকের ছেলে। বর্তমানে পাওনাদাররা তার বাড়ি ঘিরে রেখেছে।
এলাকাবাসী জানান, হেল্প সোসাইটি নামে পুঠিয়ার মোল্লাপাড়া, ঝলমলিয়া এবং মাঝদিঘা অফিস খুলে বসেন কামরুল ইসলাম। এরপর কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানের নামে সঞ্চয় সংগ্রহের পাশাপাশি মোটা টাকা লাভ দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন মেয়াদী ফিক্সড ডিপোজিট প্রকল্প খুলে টাকা সংগ্রহ করেন। এছাড়া তিনি বর্ষা মাঝদিঘা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি নামে একটি সংস্থা গড়ে তুলে টাকা-পয়সা সংগ্রহ করেন। হঠাৎ করে এসব টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যান। এরপর থেকে সঞ্চয় এবং ফিক্সড ডিপোজিট রাখা লোকজন তার বাড়ি ঘিরে রেখেছেন। মোল্লাপাড়া গ্রামের সাইফুল ইসলাম ও রাইতুল ইসলাম অভিযোগ করেন, ফিক্সড ডিপোজিট হিসেবে তারা কয়েক লক্ষ টাকা সঞ্চয় করেছিলেন। এখন তারা সব হারিয়েছেন।
এ বিষয়ে নাটোর সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা জানান যে, এ ধরনের কোনো এনজিওকে নিবন্ধন তারা দেননি। পাশ বইতে দেখা যায়- রেজি. নং এস-৭৫৯৭, হেল্প মানব শিক্ষা ও স্বাস্থ্য উন্নয়ন সোসাইটি। সোসাইটি এ্যাক্ট ১৮৬০ এর ২১ ধারামতে নিবন্ধিত। তবে কোন সংস্থায় নিবন্ধিত তা উল্লেখ করা হয়নি।
অভিযুক্ত কামরুল ইসরামের সাথে কথা বলার চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে নাটোর থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম বলেন যে, একজন ব্যক্তি মৌখিকভাবে টাকা আত্মসাতের বিষয়টি তাকে জানিয়েছেন। কিন্তু কোনো অভিযোগ তিনি পাননি।
তিনি আরও বলেন, এনজিও বিষয়ক ঘটনাটি সংশ্লিষ্ট সংস্থারই তদারক করার কথা । আমরা অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবো।