নাটোর-তাহেরপুর সড়ক যেন হয়ে উঠেছে মৃত্যুফাঁদ। নাটোর-তাহেরপুর সড়ক মৃত্যুফাঁদে পরিণত হলেও প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে জনমনে। নাটোর-তাহেরপুর সড়কের পাশে রাখা হয়েছে পুকুর খননের মাটি; রাস্তা দিয়ে গাড়ি বহনের সময় রাস্তায় মাটি পড়ে তা বৃষ্টির পানিতে গুলে রাস্তা হয়ে উঠেছে মৃত্যুফাঁদ।
স্থানীয়রা বলেন ,অবৈধভাবে তিন ফসলি জমিতে পুকুর খনন হলেও প্রশাসন উদাসীন। ছাতনী ও মাছদিঘাতে তিনটি পুকুর খননের মাটি গাড়িতে ওভারলোড করে এই রাস্তা দিয়ে বহনের সময় রাস্তায় পড়ে আর হঠাৎ বৃষ্টিতে সেই মাটি গলে রাস্তা হয়ে উঠেছে মৃত্যুর ফাঁদ। এ রাস্তা ব্যবহারকারী মানুষের চলাচল তো বিঘ্নিত হচ্ছেই, সেই সঙ্গে ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনাও।
নাটোর হতে তাহেরপুরগামী একাধিক মোটরসাইকেল চালক বলেন রাস্তায় কাদামাটি থাকার কারণে ব্রেক করলে হচ্ছে দুর্ঘটনা। মোটরসাইকেল চালাতে খুব অসুবিধা হচ্ছে। অন্য যানবাহন চালকদের দুর্ভোগ আরও মারাত্মক। কাদায় পিছলে অনেক যানবাহন রাস্তার পাশে পড়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
ছাতনী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি কুতুব উদ্দিন বলেন, হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পুকুর খনন হচ্ছে । পুকুর খননের বিষয়ে অভিযোগ করলেও হয়নি কোন প্রতিকার। তিনি আরও বলেন, পুকুর-মালিকেরা জনপ্রতিনিধি এবং প্রভাবশালী হওয়ায় প্রশাসনের লোকজন এসে পুকুর-মালিকদের সঙ্গে কথা বলে চলে যান। এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেননি তারা। তাছাড়া রাস্তা দিয়ে এইসব মাটি বহনকারী অবৈধ যানবাহন চলাচলের ফলে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা রাস্তা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে নাটোর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুকুর খননের ব্যাপারে আশু পদক্ষেপ না নিলে তিন ফসলি আবাদি জমি যেমন নষ্ট হবে, অন্যদিকে রাস্তাঘাটও চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়বে।