বাংলাদেশের বর্তমান করোনা-পরিস্থিতিতে লকডাউনের সুযোগ নিয়ে মাথাচাড়া দিয়েছে পাচারকারীরা। সম্প্রতি দেশের একটি সংরক্ষিত নদীতে ভেসে ওঠে একটি লুপ্তপ্রায় ডলফিনের ছিন্নভিন্ন দেহ।
দেশের দক্ষিণ পূর্বে রাউজান শহরের স্থানীয় লোকেরা গঙ্গার মিষ্টি জলের একটি ডলফিনের দেহ উদ্ধার করেন। সেটি দৈর্ঘ্যে ৬২ ইঞ্চি লম্বা। মৎস দফতরের পক্ষে আব্দুল্লা আল মানুন একথা জানান সংবাদসংস্থাকে।
দেখা যায়, ওই ডলফিনের শরীরে রয়েছে গভীর ক্ষত চিহ্ন। গলায় ও লেজের দিকে এই চিহ্ন দেখতে পান তারা। এছাড়া, শরীরের মেদ বা চর্বি, যা থেকে বহুমূল্য তেল তৈরি হয়, সেটি কেটে নিয়েছে পাচারকারীরা।
লকডাউন লাগু হওয়ার পর থেকে এটি দ্বিতীয় ঘটনা, যেখানে এভাবে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় একটি ডলফিনের দেহ পাওয়া গেল। এর আগেরটিও এই নদীতেই পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশে এই ডলফিনের হত্যা করা নিষিদ্ধ।
আন্তর্জাতিক তালিকা অনুসারেও লুপ্তপ্রায় প্রজাতি হিসাবে লাল তালিকাভূক্ত করা হয়েছে এই ডলফিনকে। তাও মানুষের অত্যাচারের শেষ নেই।
স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই ডলফিন ধরে স্থানীয় মৎসজীবীরা লকডাউনে উপার্জনের চেষ্টা করছেন। কারণ, এগুলি ধরা সহজ, এবং এর তেল বিক্রি করে অনেক টাকা উপার্জন করা যায়।
অনেকে স্থানীয় গ্রামের মানুষ বিশ্বাস করেন, ডলফিনের তেল রোগ প্রতিরোধ করে। তাই ভাল দামে এটি বিক্রি হয়। মনে করা হচ্ছে, সাম্প্রতিক একের পর এক ঘটনা আসলে ডলফিন পাচারের এক বাড়বাড়ন্তের দিকে ইঙ্গিত করছে, যা প্রশাসনের চিন্তা বাড়াবেই।