পুনরায় শুরু হওয়া ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচ জিতেছে চেলসি। ঘুরে দাঁড়িয়ে অবনমন অঞ্চলের দল অ্যাস্টন ভিলাকে হারিয়েছে ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের দল।
কোচ ল্যাম্পার্ডের শততম ম্যাচে পাওয়া এই জয়ে পয়েন্ট তালিকায় চতুর্থ স্থান আরও সুসংহত করল চেলসি। তালিকার পাঁচ ও ছয় নম্বর দল যথাক্রমে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও উলভারহ্যাম্পটন ওয়ানডারার্সের চেয়ে পাঁচ পয়েন্টে এগিয়ে গেল সবশেষ ২০১৬-১৭ মৌসুমে শিরোপা জেতা দলটি।
টানা চার ম্যাচ পর প্রতিপক্ষের মাঠে জয় পেল তারা। কোভিড-১৯ মহামারীর প্রাদুর্ভাবে লিগ স্থগিতের আগে নিজেদের শেষ ম্যাচে ঘরের মাঠে তারা এভারটনকে হারিয়েছিল ৪-০ ব্যবধানে।
ডিসেম্বরে প্রথম লেগের দেখায় ২-১ গোলে জেতা চেলসি অধিকাংশ সময় বলের দখল রেখে শুরু থেকেই আক্রমণ শানায়। কিন্তু প্রতিপক্ষের জমাট রক্ষণ প্রথমার্ধে ভাঙতে পারেনি তারা।
উল্টো ৪৩তম মিনিটে পিছিয়ে পড়ে সফরকারী দলটি। প্রথমবার কাছ থেকে নেওয়া প্রতিপক্ষের শট রুখে দিলেও দ্বিতীয়বার কিছুই করার ছিল না গোলরক্ষক কেপা আরিসাবালাগার। ফিরতি বল পেয়ে কাছ থেকে লক্ষ্যভেদ করেন কোর্টনি হেউস।
দ্বিতীয়ার্ধের পঞ্চদশ মিনিটে সমতা আনেন পাঁচ মিনিট আগে বদলি নামা পুলিসিচ। ডান প্রান্ত থেকে সেসার আসপিলিকুয়েতার দারুণ ক্রস পেয়ে বাম পায়ের টোকায় সমতা টানেন যুক্তরাষ্ট্রের তরুণ এই মিডফিল্ডার।
দুই মিনিটের মাথায় জয়সূচক গোলও পেয়ে যায় চেলসি। এই গোলেও অবদান রাখেন ৩০ বছর বয়সী স্প্যানিশ ডিফেন্ডার আসপিলিকুয়েতা। ডি বক্সের মধ্যে বাম প্রান্ত থেকে তার বাড়ানো বল পেয়ে উল্টো দিকে ঘুরে ডান পায়ের উঁচু শটে লক্ষ্যভেদ করেন ফরাসি ফরোয়ার্ড জিরুদ।
শেষ দিকে সমতায় ফেরার ভালো সুযোগ ছিল স্বাগতিকদের সামনে। কিন্তু কাছ থেকে নেওয়া দিয়েগো ইয়োতার শট দূরের পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়।
৩০ ম্যাচে ১৫ জয় ও ৬ ড্রয়ে চেলসির পয়েন্ট হলো ৫১। সমান ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে ১৯ নম্বরে আছে অ্যাস্টন ভিলা।
সমান ৪৬ পয়েন্ট করে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও উলভারহ্যাম্পটনের। ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে তিনে লেস্টার সিটি। এক ম্যাচ কম খেলে দুইয়ে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির পয়েন্ট ৬০।
দিনের শেষ ম্যাচে ৮২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকা লিভারপুলের প্রতিপক্ষ এভারটন।