করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে টানা ৬৬ দিন বন্ধ থাকার পর অবশেষে দেশের দুই পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হয়েছে। এদিন শেয়ারের লেনদেন কিছুটা কমলেও দিনশেষে সূচক বেড়েছে দুই পুঁজিবাজারেই। তবে বাজারে বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি ছিল কম, তাদের বেশিরভাগই মোবাইলে লেনদেন চালিয়ে নিয়েছেন। আর শেষ পর্যন্ত দীর্ঘ বিরতির পর বাজার চালু হওয়ায় স্বস্তি দেখা গেছে সবার মধ্যে।
রোববার (৩১ মে) সকালে দুই মাসের বিরতির পর পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হয়। এদিন ব্রোকারেজ হাউজগুলোতে বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি ছিল খুবই কম। অধিকাংশ বিনিয়োগকারী সরাসরি উপস্থিত না হয়ে মোবাইল ফোনে শেয়ার বেচাকেনা করেছেন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, টানা ৬৬ দিন পুঁজিবাজার বন্ধ থাকায় লেনদেন করতে পারছিলেন না তারা। অনেক বিনিয়োগকারী আর্থিক সংকটে পড়েছেন। বিশেষ করে যারা কেবল শেয়ার ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করেন, তাদের বেশ সমস্যা হচ্ছিল। লেনদেন চালু হওয়ায় এসব বিনিয়োগারীদের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। একইসঙ্গে অবশ্য করোনাভাইরাসের কারণে পুঁজিাবাজারের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগও কাজ করছে তাদের মধ্যে।
রোববার দিনশেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৫২ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৬০ পয়েন্টে উন্নীত হয়েছে। ডিএসই’র শরিয়াহ সূচক ৩০ পয়েন্ট বেড়ে ৯৫১ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৩৪ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৬৫ পয়েন্টে উন্নীত হয়েছে।
এদিন ডিএসইতে ৩৩২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দাম বেড়েছে ৬০টির, কমেছে ৬৮টির এবং ১৯৫টি শেয়ার ও ইউনিটের দাম অপরিবর্তিত ছিল। দিনশেষে ডিএসইতে ১৪৩ কোটি ২৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। আগের দিনের চেয়ে এর পরিমাণ ২০৪ কোটি ৮৪ লাখ টাকা কম।
আরেক শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সব সূচক বেড়েছে। এদিন সিএসই‘র সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই ১৪১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৪৬৯ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে ১০৯টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। লেনদেনে অংশ নেওয়া এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের মধ্যে দাম বেড়েছে ৩১টির, কমেছে ২৪টির এবং ৫৪টির দাম অপরিবর্তিত ছিল। দিনশেষে সিএসইতে মাত্র ৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট কেনাবেচা হয়েছে।