কক্সাবাজারের পেকুয়া উপজেলার কাটাফাড়ি সেতু থেকে করিমদাদ মিয়া ঘাট সড়কটি উপজেলার অন্যতম ব্যস্ততম সড়ক। উজানটিয়া ইউনিয়ন ও মগনামা ইউনিয়নের একাংশের মানুষসহ মাতারবাড়ী মহেশখালীর প্রায় লক্ষাধিক মানুষ এ সড়কটি ব্যবহার করেন। কিন্তু এ সড়কের রুপাই খালের মুখে একটি স্লুইসগেটের অভাবে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে এসব মানুষ। ঝুঁকি নিয়ে যান চলাচলের ফলে যেকোন মুহুর্তে ঘটতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা।
সরেজমিনে এ ভয়াবহ চিত্র দেখা যায়। এদিকে সড়কটির এ বেহাল দশার জন্য সংশ্লিষ্টদের দোষছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
সরেজমিনে আরও দেখা যায়, মগনামার মটকাভাঙ্গা, কুমপাড়া, মগঘোনা পাড়ায় অবস্থিত রুপাই খালের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথে হিসেবে পেকুয়া-উজানটিয়া প্রধান সড়কের মটকাভাঙা অংশে বসানো আছে কনক্রিটের ছোট একটি পাইপ (নাসি)। ইতোমধ্যে যার তলদেশে ফাটল ধরায় সড়কের মাটি সরে গিয়ে তৈরি হয়েছে বিশাল গর্ত। ফলে প্রতিমুহূর্তে দুর্ঘটনার শঙ্কা নিয়ে ওই স্থান হয়ে যাতায়াত করছে যানবাহন।
এ সড়ক হয়ে নিয়মিত যাতায়াত করেন গণমাধ্যমকর্মী জালাল উদ্দিন। তিনি বলেন, রুপাই খালের পানি নিষ্কাশনের গুরুত্বপূর্ণ পথ হওয়াতে পাইপটি অপসারণ সম্ভব নয়। আর বর্তমানে পাইপের নিচের অংশ ভেঙ্গে যাওয়াতে মাটি ধেবে গিয়ে সড়কের যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে তাতে স্থায়ী স্লুইসগেট না বসালে যেকোন মুহুর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
স্থানীয় বাসিন্দা মোজাম্মেল হক জানান, সড়কটির সৃষ্টিলগ্ন হতে এখানে এই পাইপটি বসানো আছে। গত এক যুগ ধরে এই সড়কে যানবাহন চলাচল বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্ষা মৌসুমে পানির প্রচণ্ড চাপে মাটি সরে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়। ফলে এই পথে দৈনিক হাজার হাজার মানুষকে দুর্ঘটনার শঙ্কা মাথায় নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে উজানটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ঠিক রেখে সড়কের ভাঙা ওই স্থানে টেকসই স্লুইসগেট স্থাপন করা জরুরি। নয়তাে সড়কের এ অংশের ভাঙন বন্ধ করা যাবেনা।
আরও পড়ুন: পেকুয়ায় পুকুর ও বদ্ধ জলাশয়ে মাছের পোনা বিতরণ
পেকুয়া উপজেলা প্রকৌশলী জাহেদুল আলম বলেন, ইতোমধ্যে ওই সড়ক সংস্কারে ২ কোটি ৭০ লাখ টাকার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সংস্কারকাজ চলমান রয়েছে। রুপাইখালের মুখের পাইপটি অপসারণ করে স্লুইসগেট বসানোর জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা আবেদন করেছি।