প্রধান শিক্ষকই যখন কোচিং ব্যবসায়ী!

যশোরের  শার্শা উপজেলার বুরুজবাগান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিপ্লব কান্তি বিশ্বাসের বিরুদ্ধে জোর পূর্বক কোচিং করানো ,গাইড ব্যবসা, শিক্ষকদের সঙ্গে অসম্মানজনক আচরণ, স্বেচ্ছাচারিতা-দুর্নীতিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। অভিভাবকদের অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে অনুসন্ধান করে বুধবার(১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭ ঘটিকায় বিদ্যালয়ের গিয়ে দেখা যায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিপ্লব কান্তি বিশ্বাসকে ৩৫/৪০ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে কোচিং চালাতে।

এ সময় শিক্ষার্থীদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, স্যারের কাছে কোচিং না করলে পরিক্ষায় রেজাল্ট খারাপ করে দেওয়া হয়! বাধ্য হয়ে তারা কোচিং করছে। শিক্ষক বিপ্লব কান্তি বিশ্বাসকে মাসিক শিক্ষার্থী প্রতি ১ হাজার টাকা করে কোচিং ফি আদায় করে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকদের কোচিং ব্যবসা নিষিদ্ধ করে ২০১২ সালে ‘কোচিং বাণিজ্য বন্ধের নীতিমালা’ জারি করে সরকার। ওই নীতিমালা অনুযায়ী, কোনো শিক্ষক নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীকে কোচিং করাতে পারেন না। তবে প্রতিষ্ঠান প্রধানের অনুমতি নিয়ে অন্য প্রতিষ্ঠানের সর্বাধিক ১০ শিক্ষার্থীকে কোচিং করাতে পারেন। তবে ওই শিক্ষার্থীদের নাম, রোল ও শ্রেণি সম্পর্কে প্রতিষ্ঠান প্রধানকে অবগত করতে হবে। এগুলোর কোন কিছুর তোয়াক্কা করেন না শিক্ষক বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস। চলেন নিজের খেয়াল খুশী মত। পূর্বে তিনি যখন উপজেলা শিক্ষক সমিতির কোষাধ্যক্ষ ছিলেন তখনও তার নামে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ ছিল।

এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার ওয়ালীয়ার রহমান জানান, অভিযোগগুলো আগে জানতাম না, এই বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *