কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলাধীন উজানটিয়া ইউনিয়নে প্রভাবশালীদের চক্রান্তে হুমকির মুখে পড়েছে তিন শতাধিক পরিবারের কর্মসংস্থান।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের টেকপাড়া, রূপালি বাজারপাড়া, মালেকপাড়ায় অবস্থিত ২৫০ একরের চিংড়ি ঘের; যেখানে শুষ্ক মৌসুমে আবার লবণের চাষ হয়। বর্ষায় চিংড়ি আর অন্য শুষ্ক মৌসুমে লবণের চাষ হওয়া এই ২৫০ একরের ভূমির ভালো ফলাফলের ওপর নির্ভর করে এই অঞ্চলের তিন শতাধিক পরিবারের জীবিকা। এই ২৫০ একরের চাষে বাম্পার ফলনের জন্য পাশের বঙ্গোপসাগরের চ্যানেল উজানটিয়া নদীর পানি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
শুক্রবার (৫ জুন) স্থানীয় চাষিদের উদ্যোগে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা চূড়ান্ত করতে নদীর অববাহিকায় উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর পাইপ (স্থানীয় ভাষায় নাসি) স্থাপন করতে গেলে বাধা দেয় স্থানীয় প্রভাবশালী মহল। তাদের কারণেই বিগত কয়েক বছর ধরে লবণ ও চিংড়ি চাষে কোটি টাকার লোকসান গুনেছেন বলে অভিযোগ করেছেন ওই ২৫০ একরের চাষিরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক চাষি বলেন, ‘কিছু কুচক্রী মহল ও প্রভাবশালী ব্যক্তির কারণে তাদের অনেক জমি অনাবাদি হয়ে আসছে কয়েক বছর ধরে। যার কারণে এই চাষবাসের সাথে সম্পৃক্ত প্রায় তিন শতাধিক পরিবার জীবিকা হতে বঞ্চিত। এসব মানুষের কর্মসংস্থান পুনরায় ফিরিয়ে আনতে এই জমিগুলো চাষের কোন বিকল্প নেই।’
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এম শহিদুল ইসলাম চৌধুরী মর্নিং নিউজ বিডিকে বলেন, ‘এলাকার চাষিরা বেড়িবাঁধের তলদেশে পাইপ বসাতে গেলে মালেকপাড়ার মোস্তাক আহমেদের ছেলে মীর মোশারফ হোসেন টিটুর নেতৃত্বে প্রভাবশালী মহল বাধা দেয় বলে শুনেছি। এলাকার মানুষের জীবন-জীবিকার স্বার্থে ওই জমি চাষের বিকল্প নেই। তাছাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এক ইঞ্চি জায়গাও যেখানে অনাবাদি না রাখার পরামর্শ দিয়েছেন, সেখানে কোন শক্তিবলে এসব কুচক্রী মহল মানুষের জীবিকা ধরে টান দেয় তা আমার জানা নেই।’
জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখা চিংড়ি ও লবণ শিল্পকে তরান্বিত করতে এই ভূমি জোরালোভাবে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন চেয়ারম্যান শহিদুল। তাই তিনি জাতীয় ও জনস্বার্থে নদীর অববাহিকায় উন্নতমানের পাইপ (নাসি) বসানোর পক্ষে।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কক্সবাজারের এরিয়া কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিন মুঠোফোনে মর্নিং নিউজ বিডিকে বলেন, এখানে পক্ষ-বিপক্ষে বক্তব্য আসছে। সরেজমিনে গিয়ে বাস্তব অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে করণীয় নির্ধারণ করা হবে।