বাংলাদেশের প্রথম মুসলমান প্রধান বিচারপতি মাহবুব মোর্শেদের ১১০ তম জন্ম জয়ন্তী  

বিচারপতি

বিচারপতি

বাংলাদেশ সম্মিলিত সাংস্কৃতিক  সোসাইটির উদ্যোগে উপমহাদেশের বিশিষ্ট  চিন্তাবিদ, বাংলাদেশ আইন শাসনের প্রতিষ্ঠাতা মহান এ বিচারপতি সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ এর কর্মময় জীবন শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর শিশু কল্যান পরিষদ মিলনায়তনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ ছিলেন উপমহাদেশের স্বনামখ্যাত আইনবিদ, মানবতাবাদী সমাজহিতৈষী, আইনের শাসন ও সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠার অন্যতম রূপকার এবং দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা ফোরাম ‘সার্ক’-এর অন্যতম স্বপ্নদ্রষ্টা।

১৯১১ সালের ১১ জানুয়ারি কলকাতার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে তার জন্ম। ১৯৭৯ সালের ৩ এপ্রিল তিনি ঢাকায় ইন্তেকাল করেন। বিচারপতি মোর্শেদ একজন আইনবিদ ও বিচারপতিই ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন যথার্থ সংস্কৃতিবান ব্যক্তিত্ব, যিনি বিচারপতির আসনে অধিষ্ঠিত থেকে সীমিত সুযোগের মধ্যেও বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক ও সামাজিক দায়িত্ব পালন করে সাধারণ মানুষের ভালোবাসা অর্জন করেন।

সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদের বাবা সৈয়দ আবদুস সালেক ছাত্রজীবনে মেধার পরিচয় দিয়ে পরে বঙ্গীয় সিভিল সার্ভিসের সদস্যপদ লাভ করেছিলেন। শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক ছিলেন বিচারপতি মোর্শেদের মামা। বগুড়া জিলা স্কুল থেকে ১৯২৬ সালের ম্যাট্রিক পরীক্ষায় তিনি রাজশাহী বিভাগে প্রথম স্থান অর্জন করেন। কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে অর্থনীতি বিষয়ে তিনি অনার্সসহ বিএ পাস করেন ১৯৩০ সালে। সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ এমএ পাস করেন ১৯৩২ সালে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণীতে আইন পাস করেন ১৯৩৩ সালে । ১৯৩৯ সালে ইংল্যান্ডের লিনকন্স ইন থেকে ব্যারিস্টারী ডিগ্রি লাভ করেন।

মহান এই বিচারপতির জন্ম জয়ন্তী অনুষ্ঠানে হৃদয়ে একাত্তর সাংস্কৃতিক পরিষদের উপদেষ্টা মোঃ মোখলেছুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের সাবেক পানি সম্পদ মন্ত্রী এম নাজিম উদ্দিন আল আজাদ।

অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ব্যক্তিত্ব স্মৃতি পরিষদের সভাপতি এটিএম মমতাজুল করিম বাংলাদেশ অনলাইন মিডিয়া এসোসিয়েশনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলতাফ মাহমুদ। বাংলাদেশ তাঁতী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক তুষার আহমেদ টুকু।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মুভি বাংলা টেলিভিশনের সিনিয়র সাংবাদিক মোঃ সিরাজুল ইসলাম ও এশিয়ান টিভির সাংবাদিক মোঃ সাইফুল ইসলাম। পরে আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *