বাগেরহাটে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই বাস চলাচল শুরু হয়েছে।
সোমবার (১ জুন) সকালে বাগেরহাট কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড থেকে দূরপাল্লাসহ অভ্যন্তরীণ ১৬টি রুটের এসব বাস গন্তব্যে ছেড়ে যায়।
একই ধারাবাহিকতায় আজ মঙ্গলবার (২ জুন) বাসের ভাড়া ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাগেরহাট আন্তঃজেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়ন এসব রুটে বাস ছাড়ছে। ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী পরিবহণ করছে যাত্রীবাহী বাসগুলো।
কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ডে দেখা যায়, বাসচালক ও সহকারীর মুখে মাস্ক, হাতে হ্যান্ড-গ্লাভস রয়েছে। যাত্রীদের শরীরের তাপমাত্রা মেপে ও হ্যান্ড-স্যানিটাইজার ব্যবহার করিয়ে বাসে ওঠানো হচ্ছে। শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে দুই সিটের জায়গায় একজন যাত্রী বসছেন।
যাত্রীরা বলেন, বাড়ি থেকে মাস্ক পরে এসেছি। সঙ্গে হ্যান্ড-স্যানিটাইজারও আছে। মাঝে মাঝে ব্যবহার করছি। চেষ্টা করছি লোকজন থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে। অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েও যে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছি- এটাই অনেক কিছু।
বাসচালকেরা বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা রাস্তায় গাড়ি চালাচ্ছি। ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে ধারণক্ষমতার অর্ধেক, অর্থাৎ দুইটি সিটে একজন যাত্রী বহন করছি। একজনের পাশে আরেকজনকে বসতে দিচ্ছি না। মুখে মাস্ক না থাকলে কোনো যাত্রীকে আমরা বাসে উঠতে দিচ্ছি না। বাসে ওঠার আগে হ্যান্ড-স্যানিটাইজার ব্যবহার করে ওঠানোর চেষ্টা করছি।
বাগেরহাট আন্তঃজেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাকি তালুকদার বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারের দেওয়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল থেকে জেলার ১৬টি রুটে বাস চলাচল শুরু হয়েছে। প্রতিটি বাসে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখা, হ্যান্ড-স্যানিটাইজার এবং চালক ও তার সহকারীদের মুখে মাস্ক ও হ্যান্ড-গ্লাভস রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সরকারের নির্দেশনা মেনে না চললে বাস-মালিক ও চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।