বাগেরহাটে এক দিনে সর্বোচ্চ ১৭ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। শুক্রবার খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং যশোরের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় তাদের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।
আক্রান্তদের অধিকাংশের শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ না থাকায় তাদের বাড়িতে অবরুদ্ধ রেখে চিকিৎসা দিচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
গত ৩০ মে থেকে চলতি মাসের ৮ জুন পর্যন্ত সন্দেহভাজন এই করোনা রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠায় স্বাস্থ্য বিভাগ।
এই নিয়ে বাগেরহাট জেলায় মোট ৬৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাস সনাক্ত হল। এর মধ্যে ১৫ জন সুস্থ হয়েছেন।
আক্রান্তদের মধ্যে বাগেরহাটের শরণখোলায় ৪ জন, কচুয়ায় ৩ জন, ফকিরহাটে ২ জন এবং মোংলায় ১ জন রয়েছেন। তবে মোংলার আক্রান্ত তামান্না মোংলার বাসিন্দা নন। তিনি খুলনা ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগরের ভাড়াটিয়া বাসিন্দা; যদিও তার পিতার বাড়ি মোংলা উপজেলার মিঠাখালীর চৌরিডাঙ্গায়। তবে অন্য সাত জনের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেনি স্বাস্থ্য বিভাগ। এদের মধ্যে দুজন বাদে সবাই জেলার বাইরে থেকে ফেরা।
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির জানান, শুক্রবার খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং যশোরের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় এই ১৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। সারা দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পর বাগেরহাটে এই প্রথম এক দিনের নমুনা পরীক্ষায় সর্বোচ্চ ১৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হলো।