বেনাপোল বন্দরে রাজস্ব আদায়ে করোনার প্রভাব 

২০১৯-২০ অর্থ বছরে ৬৭ কোটি ৪৭ লাখ ৯৩ হাজার ৪৯৪ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে যশোরের বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত ভ্রমণকারী দেশি-বিদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রীদের কাছ থেকে। এই সময়ের মধ্যে ১২ লাখ ৫৪ হাজার ২৬৩ জন যাত্রী ভারতে গেছেন। এদের কাছ থেকে বেনাপোল সোনালী ব্যাংক ৪৭ কোটি ৪৬ লাখ ২২ হাজার টাকা রাজস্ব আদায় করেছে। তবে করোনার কারণে গত মার্চ মাসের শেষের দিক থেকে যাত্রী যাতায়াত ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের চেয়ে কমেছে।

বেনাপোল সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার মো. আক্তার ফারুক যাত্রী পরিসংখ্যান ও রাজস্ব আদায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আহসান হাবিব জানান, এ পথ দিয়ে ভারতে যাত্রী যাতায়াত যত বাড়বে সরকারি রাজস্ব আদায় তত বাড়বে। করোনার কারণে চলতি বছরের ১৩ মার্চ থেকে কোনও যাত্রী ভারতে প্রবেশ করতে পারিনি। সে কারণে রাজস্ব আয়ও থমকে গেছে। ভারতে যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক হলে রাজস্ব আদায়ের ঘাটতি পূরণ হবে বলে আশা করা যায়।

বন্দর ও ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা যায়, ১৯৭২ সাল থেকে বৈধভাবে বেনাপোল বন্দর দিয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের ভারতে যাতায়াত শুরু হয়। বেনাপোল থেকে কলকাতার দূরত্ব মাত্র ৮৪ কিলোমিটার। বেনাপোল থেকে রওনা দিয়ে ট্রেন ও বাসযোগে মাত্র আড়াই থেকে তিন ঘণ্টায় পৌঁছানো যায় কলকাতা শহরে। যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় এই পথে চিকিৎসা, ব্যবসা ও ভ্রমণকারীরা যাতায়াতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। বর্তমানে বেনাপোল স্থলপথের পাশাপাশি রেলপথেও যাত্রীরা ভারত যাতায়াত করেন।

করোনা প্রতিরোধে ভারত সরকার ১৩ মার্চ থেকে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশের পাসপোর্টধারী যাত্রীদের ভারতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি ও ভিসা স্থগিতের পর ঢাকা-কলকাতা বাস সার্ভিস, খুলনা-কলকাতা বন্ধন ট্রেন সার্ভিস বন্ধ হয়ে যায়।

এরপর ২২ মার্চ ভারতে জনতার কারফিউ জারি করা হয়। ২৩ মার্চ থেকে দফায় দফায় লকডাউন বাড়িয়ে ৩১ জুলাই পর্যন্ত করা হয়। বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী যেসব যাত্রী ভারতে অবস্থান করছেন তারা চাইলে এ সময়ে বেরিয়ে আসতে পারবেন। ভারতীয় পাসপোর্টধারী যারা বাংলাদেশ আছেন তারাও ফিরে যেতে পারবেন। তবে নতুন করে কোনও পাসপোর্টধারীকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।

পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশ যাতায়াতের ওপরে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে ২৭ মার্চ রাত থেকে। তবে কূটনীতিক, অফিসিয়াল, জাতিসংঘ-আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বিভিন্ন প্রকল্পের ভিসাধারীদের যাতায়াত স্বাভাবিক রয়েছে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *