যশোর-৬(কেশবপুর) সংসদীয় আসনে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও মাদকের বিরুদ্ধে এক মহাযুদ্ধ ঘোষণা করলেন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সদ্য নির্বাচিত মেম্বার অফ পার্লামেন্ট জনাব আজিজুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, “কেশবপুর উপজেলায় কোন প্রকার সন্ত্রাসী কর্মকান্ড আর হবে না, কোন চাঁদাবাজী হবে না। ঘের দখল, টেন্ডারবাজী-সহ কোন দখলবাজি হবে না। অন্যায়ভাবে কাউকে হয়রানি করা যাবেনা”। এমনকি মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি জারি করেছেন তিনি। কেশবপুরে কেউ কোন খারাপ কাজ করলে তার কোন ক্ষমা হবে না। কেশবপুরে থাকবে এক সুস্থ ও সুন্দর পরিবেশ।
জাতীয় সংসদের সবথেকে অল্প বয়সী এমপি জনাব আজিজ আরো বলেন, “কেশবপুর উপজেলা বাসি আমাকে ভালোবেসে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন।যারা আমার জন্য সংগ্রাম ও কষ্ট করেছেন আমি তাদের প্রতি চরম কৃতজ্ঞ। কেশবপুর হলো সাবেক শিক্ষামন্ত্রী জনাব এএসএইচ কে সাদেক ও সাবেক জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেকের ভালোবাসার তীর্থভূমি। আমি তাঁদেরই অনুসারী। নির্বাচনে যারা আমাকে ভোট দেয়নি, তাদেরকেও আঘাত করবো না। তাদেরকে আঘাত করলে তাদের পরিবারের লোকজনও কষ্ট পাবে। আমার দ্বারা কেউ যেন কষ্ট না পায় সে দিকে সকলকে খেয়াল রাখতে হবে। আমি চাই কেশবপুর উপজেলার প্রতিটি পরিবার আমাকে যেন তাদের সন্তান মনে করে। আমি কেশবপুর বাসির সন্তান হিসেবে বেঁচে থাকতে চাই। আমি আপনাদের সুখ-দুখের সাথী হয়ে আজীবন থাকতে চাই। কেশবপুরের প্রশাসন যেভাবে বলবে আমরাও সেইভাবে চলবো। আমরা আইন মেনে চলবো। আমরা কেউই আইনের উর্ধ্বে নই।” বৃহস্পতিবার দুপুরে কেশবপুর পাবলিক ময়দানে নির্বাচনোত্তর উপস্থিত জনসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার বনানী কবরস্থানে প্রায়ত সাবেক সফল শিক্ষামন্ত্রী এএসএইচকে সাদেকের কবর জিয়ারত করেন। দুপুর ১২টায় তিনি যশোর বিমানবন্দরে আসেন এবং তাকে সাদরে গ্রহণ করতে আসা শত শত নেতা-কর্মীরা তাঁকে ফুলের শুভেচ্ছা প্রদান করেন। গাড়ী বহর নিয়ে তিনি কেশবপুর পাবলিক ময়দানে পৌছালে হাজার হাজার নেতা-কর্মীর এবং সাধারণ মানুষ তাঁকে শুভেচ্ছা জানান।
এসময় তার এই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কেশবপুর পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কবির হোসেন, কেশবপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি শামীম রেজা, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ, ইউপি সদস্য হুমায়ুন কবির টিনু, যুবলীগনেতা তরিকুল ইসলাম সহ অসংখ্য স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা এবং কর্মীরা। সকলেই তাকে ভালোবাসাময় ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান করে।