যশোরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ছয়টি সংসদীয় আসনে নির্বাচনী সহিংসতায় নয়জন আহত হয়েছেন। আহতদের যশোর ২৫০শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলো: যশোর সদর উপজেলার যশোর পৌরসভার শংকরপুরের মোঃ মারুফ হোসেন ও যশোর শহরের ঘোপ জেল রোড এলাকার আসাদ। ঝিকরগাছা উপজেলার মাটিকুমড়ার বাদশা মিয়া ও রুবেল হোসেন, মণিরামপুর উপজেলার হেলাঞ্চী কৃষ্ণবাটির মশিউর রহমান ও সাধন কুমার, শার্শা উপজেলার বেনাপোল পৌর এলাকার জুয়েল, শাওন, উজ্বল।
রবিবার সকালে যশোর শহরের ঘোপ জেল রোড এলাকায় আসাদ নৌকার পক্ষে কাজ করছিলেন। আনুমানিক দুপুর ১২টার দিকে তিনি বি.এড কলেজ কেন্দ্রে যান। এ সময় একই পক্ষের দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে তিনি জখম হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমান তিনি আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।
অন্যদিকে শহরের শংকরপুর এলাকার আহত মারুফ হোসেন জানান, তিনি আনুমানিক সকাল ৭টার দিকে শংকরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে নির্বাচনী ডিউটি করছিলেন। এ সময় সেখানে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা ১টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
শার্শা উপজেলার বেনাপোল পৌর এলাকার আহত জুয়েল জানান, তারা বেনাপোল মহিলা সিনিয়র মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্রে নৌকার পক্ষে কাজ করছিলেন। এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমার্থকরা জুয়েল, শাওন ও উজ্বলকে ছুরিকাঘাতে জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
ঝিকরগাছার উপজেলার আহত রুবেল হোসেন জানান, সকালে তিনিসহ তার নেতাকর্মীরা আন্দোলপোতা মাটিকোমড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকার নির্বাচনী কাজ করছিলেন। এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীরা রুবেল ও বাদশা মিয়াকে ছুরিকাঘাত করে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে তাদের অবস্থার অবনতি হলে দুপুরে যশোর ২৫০শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে রেফার করা হয়।
মণিরামপুর উপজেলার সাধন কুমার জানান, হেলাঞ্চী কৃষ্ণবাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে তারা স্বতন্ত্র প্রাথী ঈগল প্রতীকের কাজ করছিলেন। এ সময় নৌকা প্রতীকের কর্মীরা তাকে ও মশিউর রহমানকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। প্রথমে তাদের মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে মশিউর রহমানের অবস্থার অবনতি হলে দুপুরে যশোর ২৫০শয্যা বিশিষ্টি জেনারেল রেফার করা হয়।