যুক্তরাষ্ট্রের ৫৯তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন ডেমোক্রেট প্রার্থী ও সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হলেন এবং সেই সঙ্গে মার্কিন ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কৃষ্ণাঙ্গ নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হলেন কমলা হ্যারিস।
প্রেসিডেন্ট পদে জয়ের জন্য বাইডেনের প্রয়োজন ছিল ২৭০টি ইলেকটোরাল ভোট। ২৫৩ ইলেকটোরাল ভোট পেয়ে জয়ের একদম মুখোমুখি দাঁড়িয়ে বাইডেন যখন অপেক্ষায় ছিলেন ঠিক সেই মুহুর্তে পেনসিলভেনিয়া অঙ্গরাজ্যে জয় পেয়ে বাইডেনের মোট ভোট দাঁড়ায় ২৭৩ টিতে। টানটান উত্তেজনার ভোটযুদ্ধ শেষে অবশেষে ২৯০ ইলেক্টোরাল ভোটে হোয়াইট হাউস নিজের করে নিলেন দুইবারের ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সবথেকে বেশি বয়সে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার ইতিহাস এখন বাইডেনের দখলেই। ৭৭ বছর বয়সী এই ডেমোক্র্যাট রাজনীতিক দখল করে নিয়েছেন সবচেয়ে বেশি পপুলার ভোট পাওয়ার ইতিহাসও।
বার্তা সংস্থা এপি জানায়, পেনসিলভানিয়ার ২০ ও নেভাদার ৬ ইলেক্টোরাল ভোট পাওয়ার মধ্য দিয়ে বাইডেনের মোট ইলেক্টোরাল ভোট ২৯০ এ পৌঁছে। আর আগে থেকেই তার ঝুলিতে ছিল ২৬৪ ইলেক্টোরাল ভোট।
অপরদিকে ১৯৯২ সালে জর্জ এইচডব্লিউ বুশের পর কোনো প্রেসিডেন্ট দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসতে না পারার রেকর্ড এখন ট্রাম্পের কাঁধেই ঝুলল। সিএনএনের তথ্যানুসারে, ডোনাল্ড ট্রাম্প জর্জিয়ায় শুরু থেকেই এগিয়ে ছিলেন। কিন্তু শুক্রবার সেখানে আবারও ভোটগণনা শুরু হলে ট্রাম্প দ্রুতই নিজের লিড হারাতে থাকেন। পেনসিলভেনিয়াতেও শেষ দিকে এসে পেছনে পড়ে যান। ফলে ট্রাম্প পড়ে রয়েছেন ২১৪ ইলেক্টোরাল ভোটেই।
নির্বাচিত হওয়ার খবর নিশ্চিত হওয়ার পর এক টুইট বার্তায় কমলা হ্যারিস বলেন, আমার বা জো বাইডেনের চেয়ে এই নির্বাচন অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এটি যুক্তরাষ্ট্রের আত্মা ও আমাদের লড়াইয়ের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সম্পর্কিত। সামনে আমাদের অনেক কাজ পড়ে আছে। চলুন আমরা শুরু করি। কমলাই প্রথম দক্ষিণ এশীয় মার্কিন, যিনি মার্কিন রাজনীতিতে এত উচ্চ পদে যাচ্ছেন। তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার একেবারে তৃণমূল পর্যায় থেকে উঠে এসেছেন। ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি, স্টেট অ্যাটর্নি জেনারেল ও সিনেটর হিসেবে একাধিকবার দায়িত্ব পালন করেছেন।