বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়া ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের সতর্কতা জারি করা হলেও মোংলায় এখন পর্যন্ত এর কোনো প্রভাব লক্ষ করা যায়নি।
সোমবার (১৮ মে) সকাল থেকেই মোংলার আকাশ রৌদ্রোজ্জ্বল রয়েছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে দিনের তাপমাত্রাও বৃদ্ধি পেয়েছে। দিনের তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি থেকে বাড়তে বাড়তে দুপুর ২ টায় তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে গিয়ে ঠেকেছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হচ্ছে দিনের তাপমাত্রা আরও বাড়বে।
এদিকে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় আম্ফান বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে এই আশঙ্কায় ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ ও উপজেলা প্রশাসন ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। করোনার কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে উপজেলার সবগুলো ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রের পাশাপাশি সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যবহার-উপযোগী পাকা ভবনগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে। একই সাথে উপজেলায় খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। প্রস্তুত রাখা হয়েছে মেডিকেল টিম, শুকনো খাবার। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষও ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। বর্তমানে মোংলা বন্দরের আউটার এ্যাংকরেজে অবস্থানরত ৭টি জাহাজে পণ্য ওঠানামার কাজ চললেও ঝড়ো হাওয়া শুরু হলে বন্দরের পণ্য খালাস বন্ধ করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছে বন্দরের হারবার বিভাগ।
ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তী উদ্ধার-তৎপরতা চালাতে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড বাহিনীর পাশাপাশি সিপিপিসহ স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাহাত মান্নান জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে যাওয়ায় উপজেলা আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে আগের মতো লোক গাদাগাদি করে রাখা যাবে না। সবাইকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে রাখতে হবে। সে জন্য ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রগুলোর পাশাপাশি সব শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের পাকা ভবনগুলো এবার আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হবে।
তবে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান নিয়ে মোংলার সাধারণ মানুষের মধ্যে তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে না। সকলেই তাদের সাধারণ জীবনযাপনেই ব্যস্ত রয়েছেন।