মৌসুম আসার আগেই দেশে শুরু হয়েছে মৌসুমি বায়ুর প্রভাব। দেশের প্রায় সব জেলাতেই এ বায়ু বিস্তার লাভ করেছে। গতকাল সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এ যেন বর্ষার আগামবার্তা।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত সুস্পষ্ট লঘুচাপে রূপ পরিগ্রহ করেছে। লঘুচাপের বৃষ্টি, পিছু পিছু ঢুকছে বর্ষাও। একদিন পরেই আসছে বর্ষা। শুরু হয়েছে বর্ষার বৃষ্টির ধারা। মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে আকাশে আষাঢ় মেঘের আনাগোনা বেড়ে গেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, লঘুচাপটি যেকোনো সময় নিম্নচাপ হলেও ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে। এ অবস্থা আগামী এক সপ্তাহ অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদ আফতাব উদ্দিন বলেন, সাগর উত্তাল রয়েছে। এর প্রভাবটা বন্দরসমূহে বেশি পড়ছে। এ কারণে সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর আর নদীবন্দরে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আগামী ১৮ ই জুন পর্যন্ত বেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এই সময়ে তাপমাত্রাও অনেকটা কম থাকবে। আবহাওয়া অধিদপ্তর গতকাল থেকেই সারাদেশে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল। আজও সেই পূর্বাভাস বহাল থাকবে। একই সঙ্গে দমকা হাওয়াসহ কোথাও ভারী থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বলেন, সুস্পষ্ট লঘুচাপ ও মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে প্রায় সারাদেশের ওপর দিয়েই বিশেষ করে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জায়গায় ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, এটি এখন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় সুস্পষ্ট লঘুচাপ হিসেবে অবস্থান করছে। এটি আরো ঘনীভূত হতে পারে। এদিকে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেট ও ঢাকা বিভাগের পূর্বাংশ পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে। এটি আরো অগ্রসর হয়ে সারাদেশে বিস্তার লাভ করবে।
পূর্বাভাসে বলা হয়, চট্টগ্রাম, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়, ঢাকা, খুলনা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে এক সতর্কবার্তায় বলা হয়, উত্তর বঙ্গোপসাগর, উপকূল এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।