লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে দুটি গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে, তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ি সহ আবাদী ফসলের জমি।
সরেজমিনে উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড ও সুন্দ্রাহবি এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে টানা বৃষ্টির ফলে পানিতে তলিয়ে গেছে গ্রাম দুটির আবাদী ফসল এবং পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন বেশ কিছু মানুষ। চলাচলের রাস্তায় পানি উঠে পড়েছে। ফলে জনসাধারনের যাতায়াতে বিঘ্নতা ঘটছে।এ সমস্যা দ্রুত সমাধান করা না গেলে প্রায় ৭/৮ শত পরিবার এ পানির কারনে পানিবন্দী ও কর্মহীন হয়ে পড়বেন। এমনকি নোংরা পানির কারনে পানিবন্দি লোকজনের বিভিন্ন ধরনের পানিবাহিত রোগ সহ করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা অনেক বেশি বলে মনে করছেন এলাকার সচেতন মানুষ।
এ বিষয়ে স্থানীয়রা বলেন, পানি নিস্কাশনের রাস্তার মুখে ঘরবাড়ি নির্মান ও বিভিন্ন মৎস্য প্রকল্প স্থাপন করায় অতীতের ন্যায় পানি নিষ্কাশিত হতে না পারায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে দুটি গ্রামের আবাদী ফসল ও বসতবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের কোন নজরদারী নেই। ফলে এভাবেই পানিতে বসবাস করে দিনযাপন করে চলেছি।
স্থানীয় একজন বৃদ্ধা বলেন, বাহে পানিত হামার ঘর তলিয়ে গেছে। হামাক দেখার কাও নাই। বেব্যাক মাইনসে আইসে কিন্তু কাও একনা সমাধান করিল না বাহে। তোমরা একনা হামার জন্যে কিছু কর বায়।এমনি করি আর কয়দিন পানিত থাকি।
শিক্ষক অধর চন্দ্র রায় বলেন, পানি নিস্কাশনের রাস্তা বন্ধ করেছে কিছু প্রভাবশালী। ফলে এলাকার ৭/৮শ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। দুটি গ্রামের আবাদী ফসল তলিয়ে গেছে। কিন্তুু প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের কোন ভুমিকা নেই।
এ বিষয়ে তুষভান্ডার ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান কৃষ্ণ চরণ মোহন্ত বলেন, দীর্ঘ ৬বছর ধরে এই সমস্যা চলে আসছে। এলাকার একটি পক্ষ পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে দেয়ায় এ সমস্যার উদ্ভব হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল হাসান বলেন, বিষয়টি শুনেছি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরেজমিনে এলাকাটি পরিদর্শন করা হয়েছে। এ বিষয়ে দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা নেয়ার জন্যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তবে আগামী শুকনো মৌসুমে স্থায়ীভাবে ড্রেনেজ ব্যবস্থা করার কথা জানান তিনি।