যশোরের শার্শা উপজেলার আলোচিত উলাশী ইউনিয়নের কন্যাদাহ গ্রামের খুন হওয়া যুবদল কর্মি সাইফুল ইসলাম মুকুলের জানাযা নামাজ ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এসময় জানাযা নামাজে কেন্দ্রীয় বিএনপি, যশোর জেলা বিএনপি, ও শার্শা উপজেলা বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। নিহত সাইফুল ইসলাম মুকুল কন্যাদহ গ্রামের মৃত আজিজের ছেলে।
জানা গেছে, একটি প্রেম ঘটিত কারনে কন্যাদাহ গ্রামের আলোচিত আয়নাল বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড হাসান মেম্বারের নেতৃত্বে ১০/১২ জনের একটি দল গত বুধবার(২২মে) রাতে হাতুড়ি, লোহার রড়, ও লাঠি দিয়ে সাইফুল ইসলাম মুকুল ও তার বড় ভাই শরিফুল ইসলাম কে ব্যাপক মারধর করে। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে নাভারণ বুরুজবাগান হাসপাতাল, এরপরে যশোর ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে মুকুলের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় নেওয়া হয়। ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুকুলের মৃত্যু হয়।
উক্ত জানাজার নামাজে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির খুলনা বিভাগীয় (ভারপ্রাপ্ত) সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি, যশোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ্যাড: সাবিরুল হক সাবু, শার্শা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক খায়রুজ্জামান মধু, সদস্য সচিব আবু হাসান জহির, কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব নুরুজ্জামান লিটন, এ্যাড: মোস্তফা কামাল মিন্টু, সাবেক চেয়ারম্যান রবিউল হোসেনসহ জাতীয়তাবাদী বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জানাজা নামাজের শেষে শনিবার (২৫ মে) সকালে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়। শেষে বিএনপির নেতা অনিন্দ্য ইসলাম অমিত মরহুমের রুহের মাগ-ফেরাত কামনা করে শোকাহত পরিবারের খোঁজখবর ও গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। এদিকে সন্ত্রাসী দ্বারা শারীরিক নির্যাতনের শিকার শার্শা উপজেলার যুবদল নেতা সাইফুল ইসলাম মুকুল ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় কেন্দ্রীয় যুবদলের নির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, কামরুজ্জামান দুলাল (দপ্তর সম্পাদক) স্বাক্ষরিত এক শোক বার্তায় সাইফুল ইসলাম মুকুল এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।