যশোরের শার্শা উপজেলায় বিদেশি সবজি স্কোয়াস চাষ করে সফলতা পেয়েছেন মনজুরুল আহসান নামের এক চাষি। কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় শীতকালীন সবজির পাশাপাশি ২০ শতক জমিতে স্কোয়াস চাষ করে তিনি লাভবান হয়েছেন। চাষি মনজুরুল আহসান উপজেলার লক্ষণপুর ইউনিয়নের শিকারপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি সরকারি বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী।
বিদেশি এই সবজি স্কোয়াসের বীজ রোপণের অল্প দিনের মধ্যেই গাছ বেড়ে ওঠে এবং রোপণের ৩৫-৪০দিনের মধ্যেই গাছে ফুল আসে। পরাগায়নের ১০-১৫দিনের মধ্যে ফল সংগ্রহ করতে হবে। বীজ লাগানো থেকে ফল তুলতে সময় লাগে দুই আড়াই মাস। ফুল ও ফল দেখতে অনেকটা মিষ্টি কুমড়ার মতো। ৫৫-৬০দিনের ভিতর স্কোয়াশ বাজারজাত করা যায়। হেক্টর প্রতি স্কোয়াশের গড় ফলন ৪৫-৫০টন। জাত ভেদে সময় কম বেশি হতে পারে।
চাষি মনজুরুল আহসান জানান, কয়েক বছর ধরে আম, বরই, টমেটো, শসা, বাঁধা ও ফুলকপিসহ বিভিন্ন ধরণের সবজি ও ফল চাষ করে থাকেন। এর মধ্যে ইউটিউবে ভিডিও দেখে শার্শা উপজেলার কৃষি বিভাগের পরামর্শ নিয়ে স্কোয়াসের বীজ সংগ্রহ করেন। এরপর বাড়িতে মিষ্টিকুমড়া বা লাউয়ের মতো বীজ বপন করে গাছ গজিয়ে পরে মালচিং পদ্ধতি ব্যবহার করে জমিতে রোপণ করেন। প্রায় দেড় মাস পর ফল আসতে শুরু করে। বিদেশি স্কোয়াস গাছ একদম মিষ্টি কুমড়ার মতো। পাতা, ডগা, কাণ্ড দেখে বোঝার উপাই নেই যে, এটি মিষ্টি কুমড়া নাকি স্কোয়াস গাছ।
উৎপাদিত ১বিঘা(৩৩শতাংশ) জমি থেকে এক মৌসুমে ২২০০টি সামার স্কোয়াশ গাছ পাওয়া যায়। একটি গাছে গড়ে ১২-১৬কেজি ফল হয় আর এক বিঘা জমিতে প্রায় ফলন হয় ২৪,০০০কেজি । প্রতি বিঘা জমিতে স্কোয়াশ উৎপাদনের জন্য খরচ হয় ৯-১০হাজার টাকা। কিন্তু ১বিঘা জমিতে মুনাফা হয় ৬০-৭০হাজার টাকা বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা পলাশ কিশোর ঘোষ বলেন, প্রথমবারের মতো শার্শার মাটিতে বিদেশি সবজি স্কোয়াস চাষ হয়েছে। বাজারে ব্যাপক চাহিদা ও কম খরচে অধিক লাভ হয়। এই ফলটি অনেক পুষ্টি জাতীয়। আগামীতে এই এলাকায় প্রচুর স্কোয়াস চাষের প্রসার ঘটবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।