শাহেদ-শামিম-পাপিয়াদের সৃষ্টি ও প্রাক্তন ছাত্রলীগ

ফাইল ছবি

গত দুইদিন থেকে সকল গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এমনকি সংসদেও শাহেদ নামটি উচ্চারণ হয়েছে প্রায় সকলের মুখ থেকে। এর আগে পাপিয়া, জিকে শামিমদের নিয়েও তোলপাড় হয়েছে সকল গণমাধ্যম। এইসব আলোচনা মুলে ছিলো কিভাবে তারা উড়ে এসে জুড়ে বসেছে এবং লাগামহীন দুর্নীতি ও অবৈধ উপার্জনের মাধ্যমে টাকার পাহাড় বানিয়েছে।
সবার একটাই আলোচনা। কারা তাদের এই রমরমা ব্যবসায়ের আয়োজন করে দিয়েছে, কারা তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে?

এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে অনেক গুলো কারন বেরিয়ে আসবে। আত্মিয়করণ, এলাকার প্রাধান্য এবং বড় নেতাদের নৈতিক স্খলনসহ আরও বেশ কিছু বিষয়। তবে এইসব কারন গুলোর থেকেও সব থেকে বড় কারন হল প্রাক্তন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সস্তা আয়ের সহজ পথে হেটে নিজেদের আত্মমর্যাদাকে পায়ে ঠেলে দেয়া। এইসব হাইব্রিডদের সর্বপ্রথম জায়গা করে দেয় বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রলীগের নেতা কর্মিরাই। হয়ত হাতেগুনা দুই চারজন হাইব্রিড আত্মিয় বা এলাকার সুবিধা নিয়ে আওয়ামি লীগে জায়গা করে নিয়েছে, বাকী সব হাইব্রিড গুলোকে প্রাথমিক রাস্তা করে দেয়া হয়েছে গত সাত বছরে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের  প্রাক্তনদের হাত দিয়ে। বিশেষ করে ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর থেকে এই ব্যবসা শুরু হয়েছে।

প্রাক্তন ছাত্রলীগের একজন যদি রাজনীতিতে ভালো করা শুরু করে সাথে সাথে তার বিপক্ষে বাকী সব প্রাক্তন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা লেগে যাচ্ছে উক্ত ইউনিটের পেছনে। সবার তখন একটাই টার্গেট কিভাবে তাকে বিতর্কিত করা যায়। এছাড়াও পাব্লিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের বিভিন্ন গ্রুপ আছে এবং প্রতিটি গ্রুপের আবার গ্রুপ লিডার আছে। এইসব লিডার হয়ত এমপি, মন্ত্রী বা মেয়র। এই গ্রুপ লিডারেরাও কখনো চায় না তার অনুসারী মেধাবী কোন ছাত্রলীগের নেতা কেন্দ্রীয় পর্যায়ে বা এলাকায় ভালো করুক। কারন তারা এদের কাছে নিজেদের নিরাপদ ভাবেন না, সবসময় তাদের মধ্যে ভয় কাজ করে! এই বুঝি আমার রাজত্বই হাত ছাড়া হয়ে গেলো নতুন উঠে আসা কোন নেতার কাছে। এই গ্রুপ লিডারেরা সব সময় চায়, একটি ছেলের রাজনৈতিক জীবন ছাত্রলীগের মধ্যেই শেষ হয়ে যাক। এর উপরে যাওয়া শুরু হলে নিজেদের ইনসিকিউর ভাবা শুরু করে গ্রুপ লিডারেরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক মেধাবী ছাত্রলীগের নেতা হারিয়ে গেছে শুধুমাত্র নিজের গ্রুপের লিডারের ইনসিকিউর ফিলিংসের জন্য। জীবনে কোন দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ার চান্স পায় নাই তারাই আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের এক অংশের গ্রুপ লিডার হয়ে আছে যুগের পর যুগ ধরে।

এভাবেই চলছিলো অনেক দিন থেকে তবে বিপত্তি ঘটা শুরু হয় ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর থেকেই। হঠাৎ করেই পাব্লিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর মধ্যে প্রাক্তন ছাত্রদের মধ্যে রাতারাতি বন্ধুত্ব জেগে উঠা শুরু করে। এটা যেন এক জোয়ার বলা যায়। লক্ষ্য করলেই দেখা যাবে সব পাব্লিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্ররা হঠাৎ করে ব্যাচ ভিত্তিক বা অনেক গুলো ব্যাচ মিলে অথবা ছাত্রলীগের প্রাক্তন কয়েকজন মিলে বিভিন্ন সংগঠন বানানোর হিড়িক পড়ে যায়। যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের এলোমোনাই ছিলো না, প্রাক্তনেরা এলোমোনাই করার জন্যেও উঠে পড়ে লেগে যায়। এইসব ভুঁইফোড় সংগঠন গুলোতে দেখা যায় দুই চারজন প্রাক্তন ছাত্রলীগের নেতা কর্মি আছে বাকী সব জেনারেল ছাত্রের নামে মুলত বিএনপি-জামাতের ছেলেরাই বেশী সক্রিয়। কারন খুব চিন্তাভাবনা করেই এইসব সংগঠন গুলোর মধ্যে একটি কথার প্রচলন করানো হয়েছে তা হল আমরা মুক্তচিন্তা, প্রতিক্রিয়াশীলহীন রাজনীতি মুক্ত সংগঠন। মুলত এইসব সংগঠনের কিছু গদবাধা কাজ লক্ষ করা যাচ্ছে – ২৬ শে মার্চ, ১৬ ডিসেম্বর, ২১ ফেব্রুয়ারীতে দল বেধে ফুল দেয়া, ইফতার মাহফিল করা। এবং সব থেকে মজার বিষয় রাজনীতি মুক্ত বলার পরেও ঘটা করে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, মৃত্যুদিনে অনুষ্ঠান করা তার প্রতিকৃতি তে ফুল দেয়া, শেখ হাসিনার জন্মদিন পালন করা। এইসবের মধ্যে প্রাক্তন ছাত্রলীগের বিশাল একটি অংশ জড়িত থাকে। এইসব কিছুর মাধ্যেই শুরু হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রাক্তন ছাত্রলীগের বিভিন্ন পেজ ও গ্রুপ চালানো।

এইসব প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সবাইকে বোকা বানিয়ে শুরু হয় প্রাক্তন ছাত্রলীগের নেতা হিসেবে সার্টিফিকেট দেয়ার ব্যবসা। এই ব্যাবসা মুলত অনেক টাকার বিনিময়ে হয় তা না। পাঁচ দশ হাজার টাকাতেই অনেক প্রাক্তন নেতা বিক্রি হয়ে, বিএনপি-জামাতের ছেলেদের প্রাক্তন ছাত্রলীগের সার্টিফিকেট দেয়া শুরু করে। এই সার্টিফিকেট মানে কিন্তু কাগজে কলমে নয়। এই সার্টিফিকেট হল আওয়ামিলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে নিয়ে যাওয়ার রাস্তা করে দেয়ার সার্টিফিকেট।

বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা, বিশেষ করে ব্যাক্তিটি যদি পুলিশের বা প্রশাসনের কোন পদধারী হয় তবে তো কোন কথাই নাই। তার জন্মদিনে, তার বাচ্চার জন্মদিনে, তার বউয়ের জন্মদিনে ছাত্রলীগের প্রাক্তনদের পেজ, গ্রুপে পোস্ট দেয়া শুরু করে শুভেচ্ছা দিয়ে। তাদের কোন প্রমোশন হলে তো কথাই নেই, সারাদিন শুধু গুণকীর্তন চলে৷ অথচ সেই ব্যাক্তিগুলো তাদের ছাত্রজীবনে কোনদিনও ছাত্রলীগের একটি মিছিলেও অংশগ্রহণ করে নাই। হয়ত সাধারণ ছাত্র ছিলো অথবা ছাত্রদল বা ছাত্রশিবিরের অংশ ছিলো। প্রাক্তন ছাত্রলীগের নেতা কর্মিরা এদের থেকে খুব বড় কিছু পায় যে তাও না, হয়ত এদের বাসা বা অফিসে গেলে দুই চার হাজার টাকা দেয়। ইদে বকশিস দেয়, এটাই এদের জন্য অনেক বড়। কারন এইসব প্রাক্তন বেশীর ভাগই বেকার এবং রাজনৈতিক কোন অবস্থানও তৈরি করতে পারে নাই। বিভিন্ন আমলা ও ব্যাবসায়ীদের প্রাক্তন ছাত্রলীগ বানানোই এদের বর্তমান পেশা। এইসব যখন চলমান হয় তখন উক্ত ব্যাবসায়ী বা আমলা আস্তে আস্তে আওয়ামিলীগের কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতাদের কাছে যাওয়ার সুযোগ পায়। তাদের কাছেও নিজেদের প্রাক্তন ছাত্রলীগের কর্মি বা নেতা হিসেবেই প্রথমে কাছে যাওয়ার সুযোগ করে নেয়। তারা তো অসম্ভব চালাক এবং সুবিধাবাদী। তারা বড় নেতাদের কাছেও কিভাবে প্রিয় হওয়া যায় তা জানে। আর আমরাও জানি আমাদের দেশের রাজনৈতিক নেতা সে যত বড়ই হোক তাদের নৈতিকতাও প্রশ্নের উর্ধে নয়। এইভাবেই আস্তে ধীরে সেই আমলা বা ব্যাবসায়ী সুযোগ নেয়া শুরু করে। এর মধ্যে হাতে গুনা দুই চারজন যখন ধরা পরে, তখন বড় নেতারাও এদের এত কাছে আসার ব্যাখ্যা দিতে পারে না, আবার খুঁজে পাওয়া যায় যে আসলে এইসব ব্যাক্তির প্রাক্তন রাজনৈতিক পরিচয় হয়ত শুন্য অথবা ছাত্রদল বা শিবিরের। তখনই শুরু হয় হাইব্রিড হাইব্রিড বলে চেচামেচি।

আরও পড়ুন: রাস্তায় চাকরির বিজ্ঞাপন, তবুও বেকারত্ব

শাহেদ, শামিমেরা কিন্তু হঠাৎ করেই আওয়ামিলীগের কেন্দ্রীয় নেতা, তাদের অফিস অথবা বাড়ির অন্দরমহলে প্রবেশ করতে পারে না, এটা অসম্ভব। এদের প্রাথমিক রাস্তাই করে দেয় বিভিন্ন ইউনিটের বেকার ছাত্রলীগের প্রাক্তন নেতা কর্মিরা মাত্র চার পাঁচ হাজার টাকার পকেট মানির লোভে পরে। এই জিকে শামিমকে কাজ দেয়ার জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের লাশ পড়েছে বলে গুঞ্জন আছে। প্রাক্তন ছাত্রলীগের অনেক নেতাকে অপমানিত হতে হয়েছে দরপত্র জমা দেয়ার দিন ৷ অথচ এই শামীম কি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বা অন্য কোথাও কোন প্রাক্তন ছাত্রলীগের কর্মি বা নেতা ছিলো ? শাহেদ কে রাজনৈতিক মহলে প্রথম থেকেই নেতাদের কাছে পরিচিত করায় দেয় প্রাক্তন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি-সেক্রেটারি। তাদের দুজনের মধ্যেমেই শাহেদের আওয়ামিলীগ অফিস ও নেতার বাসায় যাওয়ার প্রথম সুযোগ  পায় শাহেদ৷ গত তিন বছরে পুলিশের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা নিজেদের প্রাক্তন ছাত্রলীগের নেতা কর্মি হিসেবে এস্টাবলিশমেন্টের মাধ্যমে সরকারের সুনজরে এসে পছন্দসই যায়গায় বদলি ও প্রমোশন বাগিয়ে নিয়েছে। অথচ এরা কেউই ছাত্রজীবনে কোন দিন ছাত্রলীগের মিছিল পর্যন্ত করে নাই। এমনকি বিএনপি- জামাতের আমলে চাকরি পাওয়া অনেক কর্মকর্তাও এখন নিজেদের প্রাক্তন ছাত্রলীগ দাবী করে।

লক্ষ করলেই দেখা যাবে শামিম,শাহেদ বা পাপিয়াদের একটি কমন ট্রেণ্ড। তারা ছবি তুলে সারাক্ষন৷ যেখানেই যায়, কোন নেতাকে পেলেই
আশে পাশে দাড়িয়ে ছবি তুলে৷ হয়ত নেতাও জানে না পাশের লোকটা কে?  নেতা হেটে যাচ্ছে হুট করে পায়ে ধরে সালাম করল, উঠার সময়ই তাদের কোন লোক দিয়ে ছবি তুলিয়ে রাখলো। নেতারা জানেও না তাদের সাথে ছবি তোলা লোকটি আসলে কে?  আর এইসব ছবিই দেখা যায় সামাজিক মাধ্যমে তারা সারাক্ষন পোস্ট দিয়ে যায়। আবার প্রাক্তন ছাত্রলীগের বিভিন্ন গ্রুপ ও পেজেও এইসব ছবি সারাদিন প্রাচার করানো হয় কিছু পকেট মানি দিয়ে। ব্যাস এভাবেই আস্তে আস্তে হাই ব্রিডেরা বড় যায়গা করে ফেলে। নিজেদের ডিপার্টমেন্ট প্রাক্তন ছাত্রলীগের কর্মি দেখিয়ে অনেক আমলা আওয়ামিলীগ সরকার থেকে প্রমোশন নিচ্ছে, সুবিধাজনক যায়গায় ট্রান্সফার নিচ্ছে৷ অথচ আসলেই ছাত্রলীগের জন্য জীবনের সব থেকে মুল্যবান সময় যারা দিয়েছে, তারাই বিভিন্ন সরকারি অফিসে একঘরে পরে আছে।

প্রাক্তন ছাত্রলীগের ও যুবলীগের নেতা কর্মিরা এখন খুব হতাশা দেখায়। তাদের মুখে সব সময় শোনা যায় আমরা কি পেলাম, আমাদের কোন খোঁজ নেয়া হয় না অথচ উড়ে এসে হাইব্রিডরা কত কিছু করে ফেলে৷ কিন্তু কখনো এটা ভাবে না, ছাত্রলীগ করার সময় যে লিডারদের ভগবানের আসনে বসিয়েছিলেন, যাদের জন্য জীবন বিপন্ন করেছেন, যাদের জন্য নিজেদের সহকর্মী অথচ অন্যগ্রুপের বলে মেরেছেন সেই গ্রুপলিডার এখন আপনার জন্য কি করছে?  আপনি যেদিন ছাত্রলীগের থেকে প্রাক্তন হয়েছেন সেদিনই আপনাদের ভগবান লিডার আপনাকে তার কর্মি হিসেবেও প্রাক্তন করে দিয়েছে৷ আপনি যদি রাজনৈতিক মেধাবী হন, আপনার যদি সমর্থন আকাশচুম্বি হয় নিজ নিজ ইউনিটে তবে, তো আপনি সবার আগে মাইনাস হয়ে যাবেন লিডারের খাতা থেকেই। প্রায় সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্রই এমন। গ্রুপ লিডারের ইনসিকিউর কমপ্লেক্সই আপনার রাজনৈতিক জীবনের সব থেকে বড় অভিষাপ হয়ে ধরা দেয়।
কেন্দ্রের বড় বড় নেতা একদিনেই হাইব্রিডদের জায়গা করে দিতে পারে না, তাদের কাছে কোন না কোন প্রাক্তন ছাত্রলীগের বা যুবলীগের কর্মিরাই নিয়ে যায় হাইব্রিডদের।

আরও পড়ুন: চীন-ভারতের মুখোমুখি অবস্থান ও কিছু কথা

এইসব প্রাক্তনদের বিভিন্ন ভুইফোর সংগঠন গুলোই নিজেদের অজান্তে প্রতিদিন একেকটি হাইব্রিডের জন্ম দিয়ে যাচ্ছে।

প্রাক্তন ছাত্রলীগের সংগঠন, ফেসবুক পেজ বা গ্রুপগুলো এখনো যদি সোচ্চার না হয়, নিজেদের নেতা কর্মি বাদ দিয়ে আমলা আর ব্যাবসায়ীদের পুজা বন্ধ না করে, তবে সামনে আরও অনেক খারাপ দিন অপক্ষা করছে এদের জন্য। পুলিশ, আমলা, ব্যাবসায়ীদের নিয়ে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেয়া বন্ধ করুন। সুবিধাবাদীরাই তাদের অফিসে গেলে দুই হাজার ধরায় দিবে, এই দুই হাজারের লোভ সামলাতে না পারলে হাইব্রিড আরও আসবে, আরও লুটাপাট চালাবে৷
নিজেদের সময়ের মেধাবী ছাত্রলীগের নেতা কর্মিদের প্রমোট করলেই হাইব্রিড প্রবেশ বন্ধ করা সম্ভব। বাস্তবতা এটাই যে গ্রুপ লিডারগন মেধাবী ছাত্রলীগের নেতাকর্মিদের সেই ভাবে জায়গা দিতে চায় না৷ একমাত্র প্রাক্তন ছাত্রলীগের কর্মিরাই পারে তাদের সময়ের যোগ্য নেতাকে তুলে ধরতে। নয়ত এই হাইব্রিডদের সংখ্যা দিন দিন বাড়তেই থাকবে।

লেখক: রাশেদ আলম, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কথাসাহিত্যিক

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *