যোগোযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় ৭০ শতাংশ পণ্য আমদানি হয়ে থাকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে। প্রতিবছর এ বন্দর দিয়ে প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকার আমদানি ও আট হাজার কোটি টাকার রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। আমদানি বাণিজ্য থেকে সরকারের প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা এবং রপ্তানি বাণিজ্য থেকে প্রায় আট হাজার কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হয়। বর্তমানে খাতা কলমে বেনাপোল বন্দরে সপ্তাহে সাত দিন ২৪ ঘণ্টা কার্যক্রম চালুর কথা বলা হলেও শুক্রবারে বন্ধ থাকে। দেশের বৃহত্তর স্থলবন্দর বেনাপোলে ভারতের পেট্রাপোল-বেনাপোল বন্দরের সঙ্গে আমদানি বাণিজ্য স্বাভাবিক রাখতে শুক্রবারও কার্যক্রম সচল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বেনাপোল ব্যবসায়ী সংগঠন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট নেতারা।
বুধবার (১৭ জুন) দুপুরে বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত পাঁচটি সংগঠনের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক লতা বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে প্রায় তিন মাস এ পথে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছিল। দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে বেনাপোল কাস্টমস, বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে অন্যদিনের মতো শুক্রবারও ভারতীয় পণ্যেও আমদানি সচল রাখার বিষয়ে একমত পোষণ করা হয়।
বেনাপোল বন্দরের সাধারণ আমদানিকারকেরা বলেন, সপ্তাহে সাতদিন বাণিজ্য সচল রাখতে হলে বেনাপোল বন্দরের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো শুক্রবার খোলা রাখতে হবে। কারণ পণ্য চালান খালাসের এসব ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে আমদানি পণ্যের রাজস্বের টাকা ও পণ্য ছাড়করণে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লেনদেন করতে হয়।