শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে জয় দিয়ে আইপিএল শুরু কোহলিদের

শ্বাসরুদ্ধকর
শ্বাসরুদ্ধকর
ছবি: সংগৃহিত

আইপিএলের এবারের আসরের প্রথম ম্যাচেই শ্বাসরুদ্ধকর এক লড়াই উপভোগ করলেন দর্শকরা। দারুণ উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে শেষ বলে রোহিত শর্মার মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে ২ উইকেটে হারিয়ে টুর্নামেন্টে শুভসূচনা করেছে বিরাট কোহলির রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু।

লক্ষ্য ছিল ১৬০ রানের। ১২২ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারিয়ে বলতে গেলে লড়াই থেকে ছিটকে পড়তে যাচ্ছিল ব্যাঙ্গালুরু। এমন বিপদের মুখে দাঁড়িয়ে চোখ ধাঁধানো এক ইনিংস খেলেন এবি ডি ভিলিয়ার্স।

শেষ তিন ওভারে দরকার ৩৪ রান। ডি ভিলিয়ার্সকে সঙ্গ দেয়ার মতো তখন স্বীকৃত ব্যাটসম্যান কেউই নেই। তবু প্রোটিয়া তারকা লড়লেন। ঘুরে দাঁড়িয়ে সহজ জয়ের পথ তৈরি করে দিলেন মুম্বাইকে।

কিন্তু সহজটা সহজ হলো না। শেষ ওভারে ৬ বলে দরকার পড়ে ৭ রান। মার্কো জানসেনের করা নিয়ন্ত্রিত সেই ওভারের প্রথম ৩ বলে ৪ রান আসলেও চতুর্থ বলে ডাবলস নিতে গিয়ে রানআউট হন ডি ভিলিয়ার্স। ২৭ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ৪৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলা এই ব্যাটসম্যান আউট হওয়ার পর আবার জমে উঠে ম্যাচ।

পরের বলে মোহাম্মদ সিরাজের পায়ে লেগে বাই এক রান হলে শেষ বলে গড়ায় লড়াই। ওই বলটি ব্যাঙ্গালুরুর মিস হলে টাই হয়ে যেতে পারতো। তবে রোমাঞ্চকর এই লড়াইয়ের শেষটা হয়েছে বল হাতে ম্যাচের নায়ক হার্শাল প্যাটেলের ব্যাটেই। জানসেনের ইয়র্কার ডেলিভারি শর্ট ফাইন লেগে ঠেলে হার্শাল এক রান পূর্ণ করতেই আনন্দে ফেটে পড়ে ব্যাঙ্গালুরু শিবির।

বিপর্যয়ে পড়ার আগে অবশ্য ব্যাঙ্গালুরুকে ভরসা দিয়েছিলেন বিরাট কোহলি আর গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। এর মধ্যে কোহলি সেভাবে হাত খুলে খেলতে পারেননি। ২৯ বলে ব্যাঙ্গালুরু অধিনায়ক করেন ৩৩ রান। ম্যাক্সওয়েলের ব্যাট থেকে আসে ২৮ বলে ৩৯।

এর আগে ক্রিস লিন, সূর্যকুমার যাদব, ইশান কিশানরা একটা সময় বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখালেও শেষ পর্যন্ত পুঁজিটা খুব বড় হয়নি মুম্বাইয়ের। ৯ উইকেটে ১৫৯ রানে থামে রোহিত শর্মার দল।

চেন্নাইয়ে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা বেশ দেখেশুনে করেছিল মুম্বাই। রোহিত শর্মা আর ক্রিস লিন ২৪ বলে গড়েন ২৪ রানের উদ্বোধনী জুটি। রোহিতের রানআউটে (১৫ বলে ১৯) ভাঙে এই জুটি।

তারপর সূর্যকুমার যাদবকে নিয়ে ঝড়োগতিতে দলকে এগিয়ে নেন লিন। ৪২ বলে তাদের জুটি থেকে আসে ৭০ রান। এই জুটিটি ভাঙে সূর্যকুমারের আউটে। দীর্ঘকায় কাইল জেমিসনকে যে ওভারে ছক্কা হাঁকান, সেই ওভারেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ হন সূর্য। ২৩ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় করেন ৩১ রান।

দুর্ভাগ্য লিনের। হাফসেঞ্চুরির একদম দোরগোড়ায় এসে হতাশায় ডুবতে হয়েছে তাকে। ওয়াশিংটন সুন্দরকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই অস্ট্রেলিয়ান। ৩৫ বলে গড়া তার ৪৯ রানের ইনিংসে ছিল ৪ চার আর ৩ ছক্কা।

এরপর হার্দিক পান্ডিয়া সুবিধা করতে পারেননি (১০ বলে ১৩)। হার্দিকের আউটের পরই খেই হারিয়ে ফেলে মুম্বাই। বারকয়েক জীবন পাওয়া ইশান কিশান ১৯ বলে ২৮ করে ফেরেন। ব্যর্থ হন কাইরন পোলার্ড (৯ বলে ৭), ক্রুনাল পান্ডিয়াও (৭ বলে ৭)। ফলে মুম্বাইয়ের পুঁজিটা আর বড় হয়নি।

হার্শাল প্যাটেল ৪ ওভারে ২৭ রান খরচায় নিয়েছেন ৫টি উইকেট। জেমিসন সমান ওভারে ২৭ রানে নেন ১ উইকেট। সিরাজ উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে খরচ করেন মাত্র ২২।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *