করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকারের সব উদ্যোগের সঙ্গে বেসরকারি খাতকে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত করতে হবে। ছোটো-বড়ো সব ধরনের বাণিজ্য-উদ্যোগে প্রণোদনা দিয়ে উৎপাদন এবং সরবরাহ ঠিক রাখতে হবে বলে পরামর্শ দিয়ে করোনা-পরবর্তী অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণ ভাবনা-বিষয়ক আন্তর্জাতিক এক সেমিনারে বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেছেন ।
বৃহস্পতিবার (২১ মে) ডিভাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন আয়োজিত এই সেমিনারে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক দুই চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভুইয়া এবং ড. মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ, এমআইইউর উপাচার্য অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম, ইন্টারন্যাশনাল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, মালয়েশিয়ার অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আমানুল্লাহ প্রমুখ।
তারা বলেন, করোনায় বৈশ্বিক চাহিদা কমে গেছে। এ বাস্তবতায় অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও জোগান ঠিক রাখার মাধ্যমে করোনার অর্থনৈতিক ক্ষতি মোকাবিলা করা সম্ভব। করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে প্রযুক্তির ওপর জোর দিলে উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতি আসবে বলেও মনে করেন তারা। এ জন্য প্রযুক্তিশিক্ষা ও দক্ষ মানব সম্পদ উন্নয়নে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ তাদের।
সেমিনারে পৃথক তিনটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ অরলিয়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এম. কবির হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক আতাউর রহমান ও মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি অব মালায়ার অধ্যাপক ড. মো. মাহফুজুর রহমান।
সভাপতিত্ব করেন আন্তর্জাতিক ইসলামী অর্থনীতিবিদ ড. আবুল হাসান এম. সাদেক। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ইকবাল হোসেন সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন।
প্রবন্ধে অধ্যাপক ড. এম. কবির হাসান উদ্যোক্তাদের কর রেয়াত সুবিধা দেওয়া এবং করোনায় অর্থ জোগানে ‘প্যানডেমিক বন্ড’, নামে একটি বন্ড চালু এবং স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর সুপারিশ করেন।