করোনাভাইরাস সংকটে বাংলাদেশে চলমান সাধারণ ছুটি আর বাড়ছে না বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। আজ (বুধবার) গণমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ‘ছুটি বাড়বে না। ছুটি সীমিত হচ্ছে। এ সময় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সীমিত আকারে চালু রাখা, পাশাপাশি নাগরিক জীবনের সুরক্ষার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞাগুলো আমাদের মানতে হবে। সেটি হচ্ছে, নিষেধাজ্ঞাকালে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাওয়ার ব্যাপারে, এক জেলা থেকে আরেক জেলায় যাওয়ার ব্যাপারে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। সে ক্ষেত্রে প্রতিটি জেলার প্রবেশ পথ ও বহির্গমন পথে চেকপোস্টের ব্যবস্থা থাকবে। জেলা প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় এই নিয়ন্ত্রণ সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করবে।’
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। তবে অনলাইন এবং ডিসটেন্স লার্নিং কোর্স (দূরশিক্ষণ) চালু থাকবে। আর সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো নিজ ব্যবস্থাপনায় সীমিত আকারে চলবে। সেক্ষেত্রে বয়স্ক ও অসুস্থ লোকজন অফিসে যাবেন না, সন্তান-সম্ভবা নারী অফিসে যাবেন না।‘
ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘হাট-বাজারে বিক্রয় ৪টা পর্যন্ত চলবে। তবে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং শারীরিক দূরত্ব মেনে। সভাসমাবেশ, গণজমায়েত অনুষ্ঠান আয়োজন বন্ধ থাকবে।’
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ২৩ মার্চ সরকার প্রথম দফায় ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। পরে দ্বিতীয় দফায় ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত, তৃতীয় দফায় ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ও চতুর্থ দফায় ৫ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি বর্ধিত করা হয়। এরপরও পরিস্থিতির উন্নত না হওয়ায় পঞ্চম দফায় ১৬ মে এবং সর্বশেষ ৩০ মে পর্যন্ত ছুটি বৃদ্ধি করে সরকার।
এর আগে ২৫ এপ্রিল জারি করা একটি প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জরুরি পরিষেবা প্রদানের সঙ্গে জড়িত সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং তাদের অধীনস্থ অফিসগুলো বর্ধিত সাধারণ ছুটির দিনে সীমিত আকারে খোলা থাকবে।
সর্বশেষ গত ১৪ মে জারি করা প্রজ্ঞাপনে ১৭ মে থেকে যে সাধারণ ছুটি, শবে কদরের ছুটি, সাপ্তাহিক ছুটি এবং ইদের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়, এখনও তা চলছে। সেই ছুটির মেয়াদ শেষ হবে আগামী ৩০ মে। করোনার সংক্রমণ রোধে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি রেল, সড়ক, নৌ ও বিমান যোগাযোগ বন্ধ রেখেছে সরকার।