যদি এবার বেঁচে যাই
তোমার কাছে যাবো মা গো-
কোলের কাছেই আবদারে ভরা শিশু হবো-
চশমা জোড়া ঠিক করে দেবো যাতে আমার মুখটা তুমি স্পষ্ট দেখতে পাও-
এবার যদি বেঁচে যাই
ভাই, বোনের আবদার আর খুনসুটি শুরু করবো আবার –
বাচ্চাদের সাথে সারাদিন খেলায় মেতে রবো-
এবার বেঁচে গেলে –
বাবার কবরের পাশে কয়েকটা সন্ধ্যামালতীর চারা রোপণ করবো-
সত্যিই যদি এবার বেঁচে যাই
তোমাকে নিয়ে আকাশটাকে নতুন করে আবিষ্কার করবো-
বেঁচে থাকার মানে খুঁজে বের করবো-
সন্ধ্যাগুলো তোমার হাতে হাত রেখে কাটাবো, সন্ধান করবো সত্যিকারের তুমিটাকে-
তোমার প্রেমিকাই হবো, ঠিক তোমার মনে মতো!
যদি নতুন একটা দিনের শুরু হয় তাহলে দুধ চা-ই চাই ঐ টঙ্গের দোকানে –
আর যদি না ফেরা হয়
আমার হয়ে ক্ষমা চেয়ো নদীর কাছে, পাহাড়, সমুদ্র, পাখিদের কাছে –
যদি আমার দিনগুলি শেষ হয়ে যায় তাহলে বাবার কবরের পাশেই আমাকে কবর দিও-
যারা ফিরে যাবে,
যারা ফিরছে তারা পৃথিবীর প্রান্তরে আলোকবর্তীকা হাতে তুলে আলো ছড়িয়ে রেখো-
খুব ভালো লাগলো কবিতাটা। মানুষ বোধহয় সবসময়ই বাঁচার জন্য উদগ্রীব। ‘যদি এবার বে্ঁচে যাই’ এখানেও কবি সেই আশাবাদের কথাই বলেছেন, খুব স্পষ্ট করেই। শুভকামনা, সালমা খানম রাণু আপনার জন্য।
বাহ্ খুব সুন্দর চিন্তা ভাবনা খুব ভালো লাগলো কবিতাটি আপনার সুদীর্ঘ জীবন কামনা করছি নিয়মিতভাবে সচেতন বোধ সম্পন্ন লিখা আমাদেরকে উপহার দিবেন এই প্রত্যাশা জ্ঞাপন করছি..