সিদ্ধান্তের মাঝে সিদ্ধান্তহীনতার ছাপ


মেহেদী হাসান রাজু: করোনার প্রভাবে স্থবির পুরো দেশ, থমকে গেছে জনজীবন, অনিশ্চিত শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ! কবে নাগাদ করোনা আমাদের করুণা করবে নেই তার নিশ্চয়তা। এর মাঝেই বিভিন্ন সময়, বিভিন্ন বিষয়ে সরকারকে নিতে দেখা গেছে নানারকম সিদ্ধান্ত। যার সর্বশেষ চিত্র আজ থেকে চালু হচ্ছে সরকারী, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সকল যানবাহন।
সরকারের নির্দেশনায় যখন সীমিত আকারে সবকিছু চালু হচ্ছে, ঠিক তখন করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুর সংখ্যা ২৮ জন। যা সরকারের তথ্য মতে এখন পর্যন্ত একদিনে দেশের সর্বোচ্চ করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু সংখ্যা।
সীমিত আকারে শপিং সেন্টার, রেস্টুরেন্ট, বাজার খুলে দেয়ার কারণে এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে মে মাসের শেষ পর্যন্ত সংক্রামণের হার বেড়েছে। চোখের সামনে লকডাউন শিথিলের নির্মম ফলাফল দেখার পরও হঠাৎ করে ছুটি তুলে দেয়া কতটা যুক্তিসঙ্গত তা নিয়ে শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন হয়তো এই পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে ঘটবে করোনা বিস্ফোরণ।
অন্যদিকে করোনার ক্রান্তিকালে বাসের ভাড়া ৮০ শতাংশ বাড়ানোর যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে জনমনে। যেখানে করোনার প্রভাবে দেশে বেকারত্বের পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে সেখানে এই সিদ্ধান্ত সময় উপযোগী কি-না তা নিয়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা।
সব প্রতিষ্ঠান সীমিত আকারে চালু হলেও ১৫ জুন পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হবে বলে সরকারের পক্ষথেকে জানানো হয়েছে। লকডাউনের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কথা জানানো হলেও বন্ধকালীন সময়ের জন্য শিক্ষার্থীদের বেতন পরিশোধ করতে হবে কি-না সে বিষয়ে সরকারের পক্ষথেকে তেমন কিছু বলা হয় নি। অনেক অবিভাবক দাবি তুলেছেন যেন লকডাউনকালীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বেতন মওকুফ করা হয়। এখন দৃষ্টি সরকারের নতুন সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়।