“হলুদ বাঁটো, মেন্দি বাঁটো, বাঁটো ফুলের মৌ,
বিয়ার সাজে সাজবে কন্যা নরম নরম ব’রে।”
গ্রাম বাংলার অতি পরিচিত একটি হৃদয় ছোঁয়া গান। বাস্তবে বর-কনের গায়ে হলুদ বা বিয়েতে গানটি বাজুক আর নাই বাজুক বিয়ের অনেক আগে থেকেই তাদের ও পড়শী’র হৃদয়ে এ গান স্থান করে নিয়েছে বা নেয়। তবে বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে হলুদের অনুষ্ঠানে বেশি লোক সমাগম বা আনন্দ হয়েছে এমন নজীরও ঢের আছে আমার মাতৃভূমিতে। কি! স্মৃতিকাতর হয়ে গেলেন কেউ?
হলুদ একটি ঔষধিগুনসম্পন্ন উদ্ভিদ অংশ বা কান্ড। এটি কাঁচা বা শুকনো গুঁড়া হিসাবে খাওয়া ও ব্যবহার করা হয়। গুণের দিক থেকে কাঁচা বা শুকনো গুঁড়া কোনটি বেশি উপকারী সে বিচারে যাবো না। তবে হলুদ যে মহা উপকারী একটি উদ্ভিদ কান্ড তা অস্বীকার করার উপায় নাই।
হলুদ এর পুষ্টি উপাদানঃ
হলুদে বিটা ক্যারোটিন, অ্যাসকরবিক অ্যাসিড, ভিটামিন ‘ই’, ভিটামিন বি৬, ফাইবার, আয়রণ, কপার, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক, নিয়াসিন, পটাসিয়াম, ফ্ল্যাভোনয়েডস এবং অন্যান্য পুষ্টি সহ তিনশোরও বেশি পুষ্টি রয়েছে। তবে বিশ্বব্যাপী বিজ্ঞানীদের দৃষ্টি আকর্ষণকারী সর্বাধিক সক্রিয় যৌগটি হলো কারকিউমিন।
কাঁচা হলুদে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান রয়েছে। পাশাপাশি অ্যান্টি-ফাঙ্গাল ও অ্যান্টি-কার্সিনোজেনিকও আছে।
হলুদের উপকারিতাঃ
বিভিন্ন সময়ে গবেষণায় দেখা গেছে হলুদ মানব শরীর বা জীবদেহে প্রায় ৪০০ রকম উপকারী ভূমিকা পালন করে। সে অর্থে মহৌষধী গুণসম্পন্ন এই হলুদ বলা চলে। আমরা অত্যাবশ্যকীয় কিছু উপকারী ভূমিকা দেখার চেষ্টা করবো।
১. ওজন কমাতে সাহায্য করে: গবেষণা বলছে, খাবারে নিয়মিত হলুদ গ্রহণ করলে ওজন কমে। আমাদের স্থূলতার জন্য দায়ী টিস্যুগুলোর বৃদ্ধি রোধ করে। মেটাবলিজম বাড়ায়। ফলে শর্করা জাতীয় খাদ্য শরীরে চর্বি আকারে জমাট বাঁধতে পারে না।
২. ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে: ত্বকের বলিরেখা, বয়সের ছাপ দূর করে। মুখের তেলতেলে ভাব নিয়ন্ত্রণ করে। ব্রণের হাত থেকে ত্বককে বাঁচায়।
৩. হজমের সমস্যা দূর করে: হলুদ পরিপাকতন্ত্রের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। পাকস্থলীতে গ্যাস্ট্রিকজাতীয় উপাদানের আধিক্য শারীরিক অসুস্থতা আনে। তৈরি করে মানসিক অস্থিরতা। হলুদ এ ক্ষেত্রে মহৌষধ হিসেবে কাজ করে।
৪. আর্থ্রাইটিসের ব্যথা হ্রাস করে: হলুদে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান থাকে। আর্থ্রাইটিসের কবল থেকে এই উপাদান রক্ষা করে। হাড়ের কোষকে সুরক্ষা দেয়। অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে নড়াচড়ার অসুবিধা দূর করে।
৫. হৃদ্যন্ত্রকে রক্ষা করে: হলুদ রক্তকোষ ও কোলেস্টরেলবাহী তন্তুকে ঠিক রাখে। রক্তনালিকে উন্মুক্ত করে ও রক্ত চলাচলের বাধা দূর করে। রক্তকণিকার অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু রোধ করে।
৬. ক্যান্সার ঠেকাতে সাহায্য করে: হলুদের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান রক্তকণিকাকে নিরাপদ রাখে। এছাড়াও কারকিউমিন ক্যান্সার দূর করতে সহায়তা করে। কারকিউমিন ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি বন্ধ করে তাদের মৃত্যু ঘটায়। ফলে ক্যান্সারের সম্ভাবনা হ্রাস পায়। বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা গেছে প্রায় ৫৬ রকম ক্যান্সারের সম্ভাবনা হলুদ রোজ নিয়মিত খেলে কমে। এর মধ্যে স্তন ক্যানসার, পাকস্থলী, কোলন ও ত্বকের ক্যান্সার অন্যতম।
৭. মস্তিষ্কের ক্ষয়জনিত সমস্যা রোধ করে: হলুদে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান পার্কিনসনস, আলঝেইমার, টিস্যুর স্থবিরতার মতো অসুস্থতা রোধে সক্ষম। এটি আমাদের মস্তিষ্কে তথ্য আদান-প্রদানের পরিমাণ বাড়ায়। হতাশার পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে।
৮. যকৃৎ সুরক্ষিত রাখে: হলুদ যকৃতের নানান রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। লিভারের বহুবৃদ্ধি, হেপাটাইটিস, সিরোসিস, গলব্লাডারের সমস্যা তৈরিতে বাধা দেয়।
৯. শ্বাসক্রিয়াকে শক্তিশালী করে: গবেষণায় দেখা গেছে, রক্তের প্রবাহ বাড়িয়ে তুলতে সক্ষম হলুদের কারকিউমিন। অ্যালার্জি, হাঁপানি, ব্রংকাইটিস বা কাশি, ঠান্ডা ও কফের সমস্যায় হলুদ উপকারী ভূমিকা পালন করে।
১০. নিয়মিত পিরিয়ড নিশ্চিত করে: অনিয়মিত মাসিক রোধ, হরমোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ–বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে হলুদের কারকিউমিন। এই উপাদান পিরিয়ডের আগে ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে থাকে।
১১. হলুদ রান্নার তেলের অক্সিডেশন কমায়: উঁচু তাপমাত্রায় রান্না করার ফলে রান্নার তেলের যে অক্সিডেশন বা জারণ প্রক্রিয়া শুরু হয় তার ফলে অনেক ক্ষতিকারক পদার্থ উৎপন্ন হয় যা ক্যান্সার ও ফাইব্রোসিস ডেকে আনতে পারে। তাই হলুদ গুঁড়ো দিয়ে রান্নার জিনিস মেখে রাখার পর তারপর তা দিয়ে রান্না করলে তা রান্নার তেলের অক্সিডেশন কমায় ও আমাদের ক্যান্সারের সম্ভাবনাকেও কমায়।
১২. হলুদ অ্যানিমিয়া বা রক্ত স্বল্পতা কমায়: হলুদের মধ্যে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট গুণ থাকায় এবং ভিটামি ‘বি’ থাকায় তা অ্যানিমিয়ার হাত থেকে আমাদের বাঁচায়। মেয়েদের সাধারণত অ্যানিমিয়া হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়, তাই তাদের পক্ষে হলুদ নিয়ম করে খাওয়া খুবই উপকারী। এছাড়া হলুদে থাকা কারকিউমিন লোহিত রক্তকণিকাকে রক্ষা করে। হলুদে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকায় তা রক্তে আয়রনের ঘাটতিকেও মেটাতে সাহায্য করে।
১৩. হলুদ থাইরয়েডের হাত থেকে বাঁচায়: নিয়ম করে হলুদ খাওয়া আমাদের গলগণ্ডের সম্ভাবনাকে কমায়। এছাড়া থাইরয়েডের প্রদাহ থেকে বাঁচতে হলুদে থাকা কারকিউমিন আমাদের সাহায্য করে।
১৪. হলুদ মেনোপজের সময়ে: হলুদ গাছকে ফাইটো-ইস্ট্রোজেন বা ইস্ট্রোজেন হরমোনের উদ্ভিজ্জ উৎস বলা হয়। ইস্ট্রোজেন মেয়েদের দেহে থাকা একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হরমোন। হলুদের ব্যথা কমানোর ক্ষমতা, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট গুণ ডিপ্রেশন কাটানোর ক্ষমতা মেনোপজের সময় নানাভাবে সাহায্য করে।
১৫৷ হলুদ মূত্রনালীর প্রদাহে: হলুদে উপস্থিত কারকিউমিন মূত্রনালীর সংক্রমণ থেকে আমাদের রক্ষা করে। তাছাড়া হলুদের অ্যান্টি-বায়োটিক ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ মূত্রনালীকে জীবাণুর হাত থেকে রক্ষা করে।
১৬. হলুদ ক্ষত সারাতে: হলুদ অ্যান্টি-বায়োটিক ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ বিভিন্ন ক্ষত তাড়াতাড়ি সারাতে সহায়তা করে ও ক্ষতের জায়গায় নতুন চামড়া জন্মাতে সাহায্য করে। অপারেশনের পরে ব্যথা কমাতে ও পোড়ার ক্ষত কমাতে এটি সাহায্য করে।
১৭. হলুদ মস্তিস্কের বয়সজনিত সমস্যাতে ও স্মৃতিশক্তি বাড়াতে: হলুদে থাকা কারকিউমিন মস্তিস্কে রক্ত চলাচলকে স্বাভাবিক রাখে ও বয়সজনিত সমস্যা থেকে মস্তিষ্ককে বাঁচায়। এছাড়া ‘মুড’ ঠিক রাখতে ও স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও নিয়ম করে হলুদ খাওয়া আমাদের উপকার দেয়।
১৮. হলুদ ধাতব বিষক্রিয়ায়: ধাতু দ্বারা আমাদের শরীরে বিষক্রিয়া হলে হলুদ তা থেকে আমাদের বাঁচতে সাহায্য করে। সিসা, অ্যালুমিনিয়াম, পারদ, ক্যাডমিয়াম থেকে শরীরে বিষক্রিয়া হলে হলুদ উপকার দেয়। খনি এলাকায় যে সমস্ত মানুষ বসবাস করেন, তাঁদের এই ধাতব বিষক্রিয়া থেকে বাঁচতে নিয়ম করে হলুদ খাওয়া উচিত।
১৯. হলুদ অগ্ন্যাশয়কে সুস্থ রাখে: হলুদে থাকা কারকিউমিন ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ অগ্ন্যাশয়কে সুস্থ রাখে ও প্রদাহের হাত থেকে অগ্ন্যাশয়কে রক্ষা করে। এছাড়া অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারের থেকেও নিয়ম করে হলুদ খেলে মুক্তি মেলে।
২০. হলুদ থ্যালাসেমিয়া দূর করতে সহায়তা করে: হলুদে থাকা কারকিউমিন আমাদের শরীরে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ডিফেন্স গড়ে তোলে ও তার ফলে থ্যালাসেমিয়ার হাত থেকে আমাদের মুক্তি দেয়।
২১. হলুদ তামাকজাত ক্ষতি থেকে বাঁচতে সহায়তা করে: ধূমপানের ফলে তামাক ও নিকোটিন আমাদের ফুসফুসের ক্ষতি করে। হলুদে থাকা কারকিউমিন ফুসফুসকে খানিকটা হলেও ক্ষতির হাত থেকে বাঁচায় ও ফুসফুসের প্রদাহ হ্রাস করে।
২২. হলুদ যকৃত ঠিক রাখতে: হলুদ নিয়ম করে খেলে আমাদের যকৃত সুস্থ থাকে ও গলব্লাডারের কাজও ঠিকঠাক হয়। এছাড়া যকৃতের প্রদাহ থেকে হলুদ আমাদের রক্ষা করে।
২৩. হলুদ মদ্যপান জনিত ক্ষতি থেকে বাঁচতে: নিয়মিত মদ্যপানের ফলে যে গ্যাস্ট্রিকের প্রদাহ, মস্তিস্ক ও ফ্যাটি লিভার ডিসিস হয়, তার থেকে বাঁচতে হলুদ আমাদের সাহায্য করে। দেখা গেছে প্রায় ৭৮.৯ শতাংশ ফ্যাটি লিভার ডিসিস নিয়ম করে হলুদ খাবার গ্রহনের ফলে কমে যায়।
২৪. হলুদ কোলেস্টেরল কমায়: বিভিন্ন রিসার্চে দেখা গেছে হলুদে থাকা কারকিউমিন মাত্র ১২ সপ্তাহেই কোলেস্টেরলকে একধাক্কায় অনেকটা কমিয়ে আনে। যারা কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগছেন, নিয়ম করে ওষুধ খেতে হয়, তাঁরা এবার নিয়ম করে হলুদ খেয়ে দেখতে পারেন। উপকার পাবেন।
২৫. হলুদ রক্তচাপ কমাতে: হলুদে থাকা কারকিউমিন আমাদের রক্তনালীকে উন্মুক্ত করে ও রক্ত চলাচলে বাধাকে দূর করে। ফলে রক্তচাপ কমায়।
২৬. হলুদ রক্তকে পরিশুদ্ধ করে: হলুদ রক্তকে পরিশুদ্ধ রাখতে সাহায্য করে ও রক্তকে পরিষ্কার রাখে।
২৭. হলুদ বিভিন্ন ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে বাঁচতে সহায়তা করে: বিভিন্ন ব্যথানাশক ঔষধ খেলে অনেক সময় গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয়, এছাড়া বিভিন্ন ওষুধের যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় তা থেকে আমাদের যকৃত, কিডনিকে হলুদ সুস্থ রাখে। এছাড়া হলুদ নিজেও অনেকসময় বিভিন্ন রোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
২৮. হলুদ অনাক্রম্যতা বাড়াতে: হলুদ ভিটামিন ই-র থেকে ৫ থেকে ৮ গুণ ও ভিটামিন সি-র থেকে শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। ফলে হলুদ নিয়ম করে খেলে তা আমাদের অনাক্রম্যতা বাড়ায় ও বিভিন্ন রোগের হাত থেকে বাঁচায়। এ থেকে অনুমান করে বলা যায় বর্তমানে বহুল আলোচিত করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য চিকিৎসকগণ আমাদের নির্দিষ্ট পরিমানে এন্টি-অক্সিড্যান্ট প্রতিদিন গ্রহন করতে পরামর্শ দিচ্ছেন, সেক্ষেত্রে হলুদ বড় ভূমিকা রাখতেই পারে।
২৯. হলুদ অনিদ্রা দূর করে: হলুদ মেশানো দুধ অ্যামাইনো অ্যাসিড ও ট্রিপটোফ্যান উৎপন্ন করে যা অনিদ্রা রোগের ওষুধ হিসেবে কাজ করে এবং শান্তিপূর্ণ ঘুমে সাহায্য করে।
৩০. হলুদ মাথা ব্যথা কমায়: হলুদ মস্তিস্কে মিউকাস চলাচলকে বাড়িয়ে তোলে। ফলে সাইনাসের সমস্যা ও অন্যান্য মাথা ধরা ও মাথা ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়।
৩১. হলুদ প্রজননে সহায়তা করে: হলুদে থাকা ইস্ট্রোজেন হরমোন মেয়েদের প্রজননে সাহায্য করে। এছাড়া হরমোনের সমস্যার জন্যে যদি প্রেগন্যান্সিতে সমস্যা হয়, তাহলে নিয়ম করে হলুদ দুধে মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যাবে।
৩২. হলুদ শিশুদের লিউকেমিয়ার সম্ভাবনা কমায়: বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার ফলে জানা গেছে হলুদে থাকা কারকিউমিন ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট গুণ শিশুদের মধ্যে লিউকেমিয়ার সম্ভাবনাকে অনেকাংশেই কমায়।
৩৩. হলুদ চুলের জন্য: হলুদ খুশকির সমস্যা, চুল পড়ার সমস্যা ইত্যাদি থেকে আমাদের মুক্তি দেয়।
৩৪. চোখের সমস্যায়: হলুদের এক উপাদান ‘পলিফেনল’ চোখের অসুখ ‘ক্রনিক এন্টিয়িয়ার ইউভেইটিস’ সারাতে কর্টিকোস্টেরয়েডের কাজ করে। উল্লেখ্য এই রোগের প্রকোপে চোখে প্রচন্ড জ্বালা ও প্রদাহ দেখা দেয়।
হলুদের অপকারীতাঃ
১. পেটের সমস্যা: প্রয়োজনের অতিরিক্ত হলুদ খেলে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
২. জরায়ুর উদ্দীপনা: হলুদ ইউটেরাইন স্টিমুল্যান্ট হিসাবে কাজ করে, যা মেন্সট্রুয়াল ফ্লো কে উৎসাহিত করে। তাই গর্ভবতী ও সদ্য মায়েদের হলুদ কম খাওয়া উচিত।
৩. কেমোথেরাপিতে সমস্যা: হলুদ বেশি খেলে কেমোথেরাপি বাধাগ্রস্ত হয়।
৪. কিডনিতে পাথর: হলুদ অনেক সময় অক্সালেটরের বিপাক পরিবর্তিত করে; ফলে ওই অক্সালেট কিডনিতে পাথর তৈরি করে।
৫. ঔষধের সাথে প্রতিক্রিয়া: হলুদ অ্যাসপিরিন, ওয়ারফারিন এবং কিছু স্টেরয়েডের সঙ্গে ক্রিয়া করে। এতে ঔষধের কাজে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
Thank you for sharing this post. It was very informative. Didn’t knew Termaric contained so many good qualities. Thanks again.