প্রবাসীদের পাঠানো পাঁচ হাজার মার্কিন ডলার বা পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত রেমিটেন্সে কোনো ধরনের কাগজপত্র ছাড়াই বিনা শর্তে প্রণোদনার অর্থ প্রদান করা হবে।
আগামী ১ জুলাই থেকে প্রণোদনার অর্থ প্রদান শুরু হবে। পাশাপাশি ৫ লাখ টাকার ওপরে রেমিটেন্সের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিলের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
এতোদিন প্রণোদনা পেতে হলে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স প্রাপক উঠানোর ১৫ দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হতো। এখন তা বাড়িয়ে ২ মাস করা হয়েছে।
বর্তমানে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত রেমিটেন্সের প্রণোদনায় কোনো ধরনের কাগজপত্র লাগবে না। এর আওতা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
তাতে বলা হয়েছে, বর্তমানে সার্বিক অবস্থায় গ্রাহকের সুবিধা বিবেচনা করে রেমিটেন্সের ওপর প্রতিবারে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার ডলার বা পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থ প্রেরণের জন্য কাগজপত্র ছাড়াই প্রণোদনা সুবিধা পাবে। এ সুবিধা ১ জুলাই হতে কার্যকর হবে।
সার্কুলারের বলা হয়েছে, পাঁচ লাখ টাকার অধিক রেমিটেন্সের ক্ষেত্রে প্রাপক কর্তৃক ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে দাখিল করার বাধ্যবাধকতা শিথিল করে কাগজপত্রাদি দাখিলের সময়সীমা দুই মাস পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ সুবিধা বহাল থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সূত্র মতে, রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়াতে চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের থেকে রেমিটেন্সে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। প্রবাসীরা বৈধপথে ১০০ টাকা দেশে রেমিট্যান্স পাঠালে ১০০ টাকার সঙ্গে ২ টাকা যোগ করে ১০২ টাকা তুলতে পারছেন। প্রণোদনার অর্থ পরিশোধের জন্য চলতি অর্থবছরের বাজেটে তিন হাজার ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
এতোদিন দেড় লাখ টাকার নিচে পাঠানো অর্থের বিপরীতে রেমিটেন্সের নগদ প্রণোদনা পাওয়ার জন্য কোনো কাগজপত্র লাগতো না। তবে দেড় লাখ টাকার বেশি রেমিটেন্সের নগদ প্রণোদনা পাওয়ার জন্য রেমিটেন্স প্রদানকারী ব্যাংকের শাখায় পাসপোর্টের কপি এবং বিদেশি নিয়োগদাতার দেওয়া নিয়োগপত্রের কপি জমা দিতে হয়। রেমিট্যান্স প্রেরণকারী ব্যক্তি ব্যবসায় নিয়োজিত হলে ব্যবসার লাইসেন্স জমা দিতে হবে।
মঙ্গলবার সার্কুলারের কিছু পরিবর্তন এনে নতুন আরেকটি সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।