প্রায় চার মাস জেল খাটার পর অবশেষে সোমবার (০৬ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বাগেরহাট জেলা কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান খুলনার নিরপরাধ সালাম ঢালী।
এর আগে বিকেলে বাগেরহাটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তন্ময় গাইন আসামির নাম, বাবার নামের এবং ঠিকানার একাংশের মিল থাকায় বিনা অপরাধে জেলে থাকা সালাম ঢালীকে মুক্তির আদেশ দেন।
খুলনা জেলার সোনাডাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সঞ্জিত কুমার মণ্ডলকে নিয়মিত আদালত চালু হওয়ার সাত কার্যদিবসের মধ্যে আদালতে হাজির হয়ে কেন সালাম ঢালীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তার কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
বাগেরহাট কারাগারের জেলার এস এম মহিউদ্দিন হায়দার বলেন, নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মোংলা থানার মামলা নং ০২, তারিখ ০৩/০৯/২০০৫। ধারা ৩৭৯/৪১১ পেনাল কোড । জিআর ১৪৫/২০০৫ (মোংলা) নং মামলায় মো. আব্দুস সালাম, পিতা- মফিজ উদ্দিন, সাং- শেখ পাড়া মেইন রোড, থানা- সোনাডাঙ্গা ও জেলা- খুলনা (চালান মোতাবেক অন্তর্তীকালীন হাজতী পরোয়ানায় উল্লেখিত) এর রিলিজ অর্ডার। আমরা আদালতের নির্দেশনা (বেলবন্ড) পালন করেছি।
বাগেরহাট কোর্ট পরিদর্শক দিলীপ কুমার সরকার বলেন, সালাম ঢালীকে আদালত মুক্তির আদেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে এসআই সঞ্জিত কুমার মণ্ডলকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে আদালতে হাজির হয়ে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদ আহমেদ বলেন, কাগজপত্র পর্যালোচনা করে আদালত প্রতীয়মান হয় যে, এ সালাম ঢালীর সঙ্গে মামলার কোনো সংশ্লিষ্ঠতা নেই। এ কারণে মামলা থেকে তাকে রিলিজ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, আসামির নাম, বাবার নামের এবং ঠিকানার একাংশ মিল থাকায় নিরপরাধ মো. সালাম ঢালী (৩৮) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার প্রকৃত আসামির নাম মো. আব্দুস সালাম।
চলতি বছরের ১১মার্চ রাত ১২টায় খুলনার সোনাডাঙ্গা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সঞ্জিত কুমার মণ্ডল সদর থানা এলাকার ৬০/১৮, শের-এ-বাংলা রোডের বাসিন্দা সালাম ঢালীকে গ্রেফতার করেন। মো. সালাম ঢালীর পিতার নাম মফিজ উদ্দিন ঢালী। প্রায় চার মাস ধরে নিরপরাধ মুদি দোকানি সালাম ঢালী বাগেরহাটের কারাগারে সাজা ভোগ করছিলেন।
অন্যদিকে প্রকৃত অপরাধী মো. আব্দুস সালাম খুলনার সোনাডাঙ্গা থানাধীন শেখপাড়া মেইন রোডের মৃত শফিজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি এখন পলাতক রয়েছেন।