বাংলাদেশ পুলিশ ঝিনাইদহ জেলার একজন গর্বিত সদস্য এ এসআই মিরাজুল। জন্মস্থান মেহেরপুর জেলার গাংনী থানার চৌগাছা গ্রামে, তার পিতার নাম মৃত হাফিজুর রহমান। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। চাকরির জীবনের বেশ সময় ধরে তিনি করে চলেছেন বিভিন্ন মানবিক কর্মকান্ড যা মানবিকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তিনি বাংলাদেশ পুলিশে ট্রেইনিং রিক্রুট কনস্টেবল হিসেবে যোগদান করেন ১২ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চাকরি করে তিনি বর্তমানে ঝিনাইদহ জেলা পুলিশে কর্মরত আছেন। তিনি ঝিনাইদহের বিভিন্ন অঞ্চলের জনমানুষের কাছে এক অত্যন্ত পরিচিত নাম মানবিক পুলিশ এ এসআই মিরাজুল ভাই হিসাবে।
আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বুধবার ঝিনাইদহের বেশ কয়েকটি পরিবারের মাঝে ঈদের শুভেচ্ছা উপহার হিসাবে খাদ্য সামগ্রী, পরিধেয় বস্ত্র, ও নগদ অর্থ প্রদান করেন। তবে এক ব্যতিক্রমী ঘটনা ঘটে ধোপাবিলা গ্রামের শৈলমারি পাড়ায় মৃত গিয়াস উদ্দিন এর বাড়িতে গেলে। গিয়াসউদ্দিন এর স্ত্রী ফিরোজা খাতুন সংবাদকর্মীদের বলেন, পুলিশ ভাই এসেছিলেন আমার এবং আমার প্রতিবন্ধী সন্তানের খোঁজ খবর নিতে, তখন তিনি জানতে পারেন যে আমি আমার তিন সন্তানকে নিয়ে খুব কষ্টে মানুষের নিকট হাত পেতে দিনযাপন করছি। পুলিশ ভাই আমার কথা শোনার পর আমাকে বলেন দেখি আপনার জন্য কিছু করতে পারি কিনা। আজকে পুলিশ ভাই আমার দোকানে মালামাল উঠিয়ে দেন যা আমার পক্ষে সম্ভব ছিলো না। তিনি আমাকে আমার ব্যবসার মূলধন দিয়েছেন। আজকে থেকে আর আমাকে অন্যের কাছে হাত পাততে হবে না। পুলিশ ভাই আমাকে এর পাশাপাশি ঈদের বাজার করার জন্য নগদ কিছু টাকাও প্রদান করেন। আমি মহান আল্লাহর কাছে মিরাজুল ভাই সহ সকল পুলিশ সদস্যের জন্য দোয়া করি তিনি যেন সকলকে সুস্থ্য ও ভালো রাখেন।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে বাংলাদেশ পুলিশের এ এসআই মিরাজুল ইসলাম বলেন, যখন আমি অসহায় মা-বোনদের দেখি তখন নিজের মায়ের কথা মনে পড়ে বোনের কথা মনে পড়ে, যদি এই জায়গাতে আমার নিজের বোন নিজের মা থাকতেন তাহলে আমি কি করতাম। তাই মানবিক মূল্যবোধের জায়গা থেকে এমন কাজ করি এবং ভবিষ্যতেও এমন কর্মকান্ড অব্যাহত রাখতে চাই।